নূরানী স্কুল
ইমেইলঃ nuranischool@gmail.com
ফেসবুকঃ fb/NuraniSchoolPAGE
ইউটিউবঃ Nurani School
সম্পাদকঃ ওমর ফারুক

Header Ads

Showing posts with label দোয়া. Show all posts
Showing posts with label দোয়া. Show all posts

Wednesday, September 4, 2019

দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সকল দোয়া


১।ঘুমাতে যাওয়ার সময় দোয়া

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া-আহ'ইয়া।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরন করি,আবার তোমারই নামে জীবন ধারন করি।


২।ঘুম থেকে উঠার পরের দোয়া

উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আহইয়া নাফছি বা'দা মা আমাতাহা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

ফজিলতঃ রাসূল (সঃ) ঘুম থেকে উঠেই এই দোয়া পড়তেন। এই দোয়া পড়লে সারাদিন ভালো কাটবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৮)


৩।ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ের দোয়া

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি তাওয়াক'কালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কু'ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

ফজিলতঃ রাসূল (সঃ) বলেছেন যে ব্যাক্তি এই দোয়া পড়ে ঘর থেকে বেরোবে সকল বিপদ থেকে সে নিরাপদে থাকবে ও ইবলিশ শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৮০)



৪।টয়লেটে যাওয়ার আগে দোয়া

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবথি ওয়াল খাবায়ি'থ

ফজিলতঃ এই দোয়া পড়ে রাসূল (সঃ) টয়লেটে ঢুকতেন। টয়লেটে ঢুকার আগে এই দোয়া পড়তে বলেছেন। (বুখারী শরীফ, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৯৩৬)।



৫।টয়লেট থেকে বের হওয়ার :-আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আযহাবা আল্লীল আযা ওয়াআ-ফানী।

অর্থঃ সেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করে দিলেন এবং প্রশান্তি দান করেছেন (ইবনে মাজা)।



৬।মসজিদে প্রবেশ ও বাহিরে হওয়ার সময়ের দোয়ামসজিদে প্রবেশ করার দোয়াঃ



উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাফ তাহ্লী আবওয়াবা রাহমাতিকা

মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়াঃ



আল্লা-হুম্মা ইন্নি আছআলুকা-মিন ফাদলিকাস্ত্রী সহবাসের দোয়াবিছমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা জান্নিব-নাশ শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাজাকতানা।



৭।কাপড় পরিধানের দোয়া

:-আল্হামদু লিল্লাহিল্লাজী কাছানী মা উয়ারী বিহী আওরাতী অ আতাজাম্মাল্লু বিহী ফী হায়া-তী।


৮। খাবার শুরু ও শেষ করার দোয়া খাবারের শুরুতেঃ 

বিসমিল্লাহে অ-আলা বারকাতিল্লাহেখাবারের পরঃ আলহামদু-লিল্লা হিল্লাজী আত্ব আমানা অ- ছাক্কানা অ-জা আলানা মিনাল মুছলেমীন।


৯।ঘর হইতে বাহির হওয়ার দোয়া:-

বিছমিল্লাহে তাওয়াক কালতু আলাল্লাহে।


১০:-দাওয়াত বা অন্যের ঘরে খাওয়ার পর দোয়া:-

আল্লাহুম্মা আত্বয়েম মান আত্বআমানী ওয়াছ্ক্কে মান ছাক্কানী।



১১।সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার (তিন বার পাঠ করা)

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদুররু মাআসমিহী শাইয়ুন ফিল আরদি ওলা ফিস সামাই ওয়াহুয়াস সামিউল আলীম।



অর্থ : আমি সকালে বা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এমন আল্লাহর নামে যার নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন কিছুই ক্ষতি করতে পারে না।

ফজিলত : যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়া তিন বার করে পাঠ করবে, কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।



১২।অন্যান্য দোয়াসমূহ রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য প্রাপ্তির দোয়া

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বান নাছি মুযহিবাল বাছি - ইশফি আনতা শাফি - লা শাফি ইল্লা আনতা শিফা'ন লা ইয়োগাদিরু সুকমা।



ফজিলতঃ আনাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (সাঃ) অসুস্থ ব্যাক্তিদের উপর এই দোয়া পড়ে ফু দিতেন। অসুস্থ ব্যাক্তি দ্রুত আরোগ্য লাভ করতো। (বুখারী শরীফ খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৮৫৫)


১৩।ব্যাথা উপশমের দোয়া উচ্চারণঃ 

সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহীল আজীমি ওয়া বিহামদিহী

১৪। আস্তাগফিরুল্লাহফজিলতঃ 

হুজুর সাঃ বলেন, এই দোয়া প্রত্যহ ফজর নামাজের পূর্বে বা পরে ১০০ বার করে পড়, সংসার দুনিয়া আপনা আপনি তোমার দিকে ফিরবে অর্থাত দুনিয়া তোমাকে হেয় ও লাঞ্ছিত অবস্থায় ধরা দিবে এবং এতদ্ভিন্ন আল্লাহতায়ালা এর একেকটি শব্দ হতে এক একেক জন ফেরেশতা তৈরী করে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত তসবীহ পাঠে নিযুক্ত করে দিবেন উহার সমুদয় সোয়াব তুমি পাবেএর মুল বক্তব্য হচ্ছে এস্তেগফার। বলাবাহুল্য গুনাহের কারনেই মানুষের রিজিকের সঙ্কীর্নতা এবং সকল প্রকার দুঃখ কষ্ট ও পেরেশানী ঘটে থাকে। এই আমল নিয়মিত করার মাধ্যমে সংসারে কোন অভাব অনটন থাকতেই পারে না।


১৪। প্রত্যেক নামাযের পরের দোয়া :-

সুবহানাল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার এবং একবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহিদা্হু লা-শারীকালাহু, লাহুল মুলক্ ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শা্য়্যিন ক্বাদীর।ফযীলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর উক্তরূপে তসবীহ্ পাঠ করে তার সকল গুনাহ্ মার্জিত হয়ে যায় যদিও তা সমুদ্রের ফেণরাশির মত অফুরন্ত হয়।


১৫।

 যে প্রত্যহ ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ও বিহামদিহী’ পাঠ করে তার পাপরাশি সমুদ্রের ফণরাশির ন্যায় অপরিসীম হলেও তা ক্ষমা করা হয়।


১৬।মাতা-পিতার জন্য সন্তানের দোয়া 

উচ্চারণঃ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ঈয়ানী সাগিরা। (সূরা বণী ইসরাইল, আয়াতঃ ২৩-২৫)অর্থঃ হে আল্লাহ্‌ আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হউন, তাঁরা শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন।


১৭।ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করার দোয়া

রাব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব। (সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ০৮)অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিওনা এবং তুমি আমাদের প্রতি করুনা কর, তুমিই মহান দাতা।


১৮।ভুল করে ফেললে ক্ষমা চাওয়ার দোয়া 

উচ্চারণঃ রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির্‌লানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না মিনাল খা’সিরিন।অর্থঃ হে আল্লাহ্‌, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।


১৯।গুনাহ্‌ মাফের দোয়া 

উচ্চারণঃ রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মায়াল আবরার। (সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩)অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।


২০।ক্ষমা ও রহমতের দোয়া 

উচ্চারণঃ রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।

অর্থঃ হে আল্লাহ্‌, আমাকে ক্ষমা করে দাও, আর আমার প্রতি রহম কর, তুমিই তো উত্তম দয়ালু।


২১।ঈমান ঠিক রাখার দোয়া 

উচ্চারণঃ ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা।অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী, আমার মনকে সত্য দ্বীনের উপর স্থিত কর।


২২।অস্থিরতায় পাঠ করার দোয়া 

উচ্চারণঃ আল্লাহু ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগীছু।অর্থঃ হে চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী আল্লাহ্‌ তোমার রহমত দ্বারা আমাকে সাহায্য কর।এবং



উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, সুবহানান্নাহিল আযীম।অর্থঃ মহান আল্লাহ বড়ই পবিত্র, আল্লাহ বড়ই পবিত্র ও মহান।
২৩। বিপদে আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য দোয়া 

উচ্চারণঃ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মাল নাসির।



মহান আল্লাহর সাহায্যই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম জামিনদার। তিনি কতইনা উত্তম প্রভু এবং উত্তম সাহায্যকারী।সাইয়্যিদুল ইস্তিগফারউচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহ্‌দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাছত্বোয়াতাতু, আউযুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লাহ আন্তা।(যাদুল মাআদ)।



অর্থঃ হে আল্লাহ্ তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আর আমি সাধ্যমত তোমার অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির উপর কায়েম আছি। আমি মন্দ যা করেছি তা থেকে তোমার আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার প্রদত্ত নেয়ামতের স্বীকৃতি দিচ্ছি। আর আমার গুনাহ্‌গুলো স্বীকার করছি। অতএব আমাকে ক্ষমা কর। কারণ তুমি ছাড়া গুনাহ্ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।ফজিলতঃ রাসুল সা. বলেছেন, তোমাদের কেউ এ কথাগুলো সন্ধ্যা বেলায় বললে, অতপর সকাল হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তোমাদের কেউ তা সকাল বেলায় বললে, অতপর সন্ধ্যার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারী, তিরমিযী) ।


২৪।অত্যাচারের ভয় থেকে মুক্তির দোয়া 

উচ্চারণঃ আল্লাহুকফিনাহু বিমা শিতা আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফী ন্ হহুরিহিম ওয়া নাউজু বিকা মিন শুররিহিম |জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়াউচ্চারণঃ রব্বি জীদনী ঈলমাঅর্থঃ হে আল্লাহ্ আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও ।


২৫।বিশ লক্ষ নেকীর দোয়া 

উচ্চারনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা শারিকালাহু আহাদান ছামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ লাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।ফজিলতঃ যে ব্যাক্তি এই দোয়া একবার পাঠ ক রবে তার আম ল নামায় বিশ লক্ষ নেকী লেখা হবে।


২৬।এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নেকীর দোয়া 

যে ব্যাক্তি দৈনিক ১০০ বার "সুবহানাল্লাহী ওয়া বিহামদিহী" পড়বে তা আমল নামায় এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নেকী লেখা হবে।

Tuesday, September 3, 2019

দোয়া কবুল হওয়ার শর্তগুলো কি কি; যাতে দোয়াটি আল্লাহ্‌র কাছে কবুল হয়?


দোয়া কবুল হওয়ার বেশকিছু শর্ত রয়েছে। যেমন:

১. আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেন: “যখন প্রার্থনা করবে তখন শুধু আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করবে এবং যখন সাহায্য চাইবে তখন শুধু আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চাইবে।”[সুনানে তিরমিযি (২৫১৬), আলবানী ‘সহিহুল জামে’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

এটাই হচ্ছে আল্লাহ্‌র বাণীর মর্মার্থ “আর নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহ্‌রই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।”[সূরা জিন্‌, আয়াত: ১৮] দোয়ার শর্তগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এ শর্ত পূরণ না হলে কোন দোয়া কবুল হবে না, কোন আমল গৃহীত হবে না। অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের মাঝে ও আল্লাহ্‌র মাঝে মৃতব্যক্তিদেরকে মাধ্যম বানিয়ে তাদেরকে ডাকে। তাদের ধারণা যেহেতু তারা পাপী ও গুনাহগার, আল্লাহ্‌র কাছে তাদের কোন মর্যাদা নেই; তাই এসব নেককার লোকেরা তাদেরকে আল্লাহ্‌র নৈকট্য হাছিল করিয়ে দিবে এবং তাদের মাঝে ও আল্লাহ্‌র মাঝে মধ্যস্থতা করবে। এ বিশ্বাসের কারণে তারা এদের মধ্যস্থতা ধরে এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে এ মৃতব্যক্তিদেরকে ডাকে। অথচ আল্লাহ্‌ বলেছেন: “আর আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন আপনি বলে দিন) নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী। দোয়াকারী যখন আমাকে ডাকে তখন আমি ডাকে সাড়া দিই।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬]

২. শরিয়ত অনুমোদিত কোন একটি মাধ্যম দিয়ে আল্লাহ্‌ তাআলার কাছে ওসিলা দেয়া।

৩. দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। তাড়াহুড়া করা দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে বড় বাধা। হাদিসে এসেছে, “তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে: ‘আমি দোয়া করেছি; কিন্তু, আমার দোয়া কবুল হয়নি”[সহিহ বুখারী (৬৩৪০) ও সহিহ মুসলিম (২৭৩৫)]

সহিহ মুসলিমে (২৭৩৬) আরও এসেছে- “বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে। বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করে। জিজ্ঞেস করা হল: ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাড়াহুড়া বলতে কী বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেন: বলে যে, আমি দোয়া করেছি, আমি দোয়া করেছি; কিন্তু আমার দোয়া কবুল হতে দেখিনি। তখন সে ব্যক্তি উদ্যম হারিয়ে ফেলে এবং দোয়া ছেড়ে দেয়।”

৪. দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া না হওয়া; যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিসে এসেছে- “বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে।”

৫. আল্লাহ্‌র প্রতি ভাল ধারণা নিয়ে দোয়া করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা করে আমি তেমন।”[সহিহ বুখারী (৭৪০৫) ও সহিহ মুসলিম (৪৬৭৫)] আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে, “তোমরা দোয়া কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস (একীন) নিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া কর।”[সুনানে তিরমিযি, আলাবানী সহিহুল জামে গ্রন্থে (২৪৫) হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন]

তাই যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করে আল্লাহ্‌ তার উপর প্রভুত কল্যাণ ঢেলে দেন, তাকে উত্তম অনুগ্রহে ভূষিত করেন, উত্তম অনুকম্পা ও দান তার উপর ছড়িয়ে দেন।

৬. দোয়াতে মনোযোগ থাকা। দোয়াকালে দোয়াকারীর মনোযোগ থাকবে এবং যাঁর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে তাঁর মহত্ত্ব ও বড়ত্ব অন্তরে জাগ্রত রাখবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ্‌ কোন উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।”[সুনানে তিরমিযি (৩৪৭৯), সহিহুল জামে (২৪৫) গ্রন্থে শাইখ আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন]

৭. খাদ্য পবিত্র (হালাল) হওয়া। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “আল্লাহ্‌ তো কেবল মুত্তাকীদের থেকেই কবুল করেন”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ২৭] এ কারণে যে ব্যক্তির পানাহার ও পরিধেয় হারাম সে ব্যক্তির দোয়া কবুল হওয়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদূরপরাহত বিবেচনা করেছেন। হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, যিনি দীর্ঘ সফর করেছেন, মাথার চুল উস্কুখুস্ক হয়ে আছে; তিনি আসমানের দিকে হাত তুলে বলেন: ইয়া রব্ব, ইয়া রব্ব! কিন্তু, তার খাবার-খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পরিধেয় হারাম, সে হারাম খেয়ে পরিপুষ্ট হয়েছে তাহলে এমন ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে?[সহিহ মুসলিম, (১০১৫)]

ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন, হারাম ভক্ষণ করা দোয়ার শক্তিকে নষ্ট করে দেয় ও দুর্বল করে দেয়।

৮. দোয়ার ক্ষেত্রে কোন সীমালঙ্ঘন না করা। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা দোয়ার মধ্যে সীমালঙ্ঘন করাটা অপছন্দ করেন। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক; নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।” [সূরা আরাফ, আয়াত: ৫৫]

৯. ফরয আমল বাদ দিয়ে দোয়াতে মশগুল না হওয়া। যেমন, ফরয নামাযের ওয়াক্তে ফরয নামায বাদ দিয়ে দোয়া করা কিংবা দোয়া করতে গিয়ে মাতাপিতার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা। খুব সম্ভব বিশিষ্ট ইবাদতগুজার জুরাইজ (রহঃ) এর কাহিনী থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কারণ জুরাইজ (রহঃ) তার মায়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে ইবাদতে মশগুল থেকেছেন। ফলে মা তাকে বদদোয়া করেন; এতে করে জুরাইজ (রহঃ) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন।

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, আলেমগণ বলেছেন: এতে প্রমাণ রয়েছে যে, জুরাইজের জন্য সঠিক ছিল মায়ের ডাকে সাড়া দেয়া। কেননা তিনি নফল নামায আদায় করছিলেন। নফল নামায চালিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে- নফল কাজ; ফরয নয়। আর মায়ের ডাকে সাড়া দেয়া ওয়াজিব এবং মায়ের অবাধ্য হওয়া হারাম....”[শারহু সহিহু মুসলিম (১৬/৮২)]

Monday, September 2, 2019

যে দোয়াটি পড়লে ৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন

আপনি কি জানেন? এমন কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলো পাঠ করে ৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন? তাহলে আর দেড়ি কেন চলুন দোয়া গুল সম্পর্কে জেনে নেই।

এমন একটি দোয়া রয়েছে যা পড়লে সত্তরটি বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি, সর্বনিম্নটি হলো দারিদ্রতা। হযরত ওমর ফারুক রা. বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় এ দুয়াটি পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় দশ লাখ নেকি লেখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে দশ লাখ গুনাহ মুছে দেয়া হবে।  

দোয়াটি হলো: لااله الاالله وحده لاشريك له الملك وله الحمد يحي ويميت وهوحي لايموت بيده الخير وهوعلي كل شيء قدير বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ইউহই ওয়া-ই মিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরিক নেই। তাঁর জন্যই বাদশাহী ও রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। তিনি জীবন দেন, মৃত্যু দেন। তিনি জীবিত আছেন, মারা যাবেন না কখনোই। সমস্ত কল্যাণ তাঁর নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি সমস্ত জিনিসের ওপর ক্ষমতাবান।’

(তিরমিযি) হযরত আবু নাঈম ও ইবনে আবি শায়বা রহ. একটি আমলের কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দুয়া একবার পাঠ করবে- একশ’ বার নয়, মাত্র একবার- আল্লাহ তায়ালা তার সত্তরটি বিপদ দূর করে দিবেন। আর সর্বনিম্ন বিপদ হল দারিদ্রতা। আর অন্যান্য বিপদগুলো এর চেয়ে অনেক বড় বড়। যে ব্যক্তি এই দুয়ার আমল করবে, আল্লাহ তাআলা তার এসব বিপদ দূর করে দিবেন।

দোয়া : لاحول ولاقوة الا بالله ولاملجا ولامنجا من الله الا اليه  
বাংলা উচ্চারণ : লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি।
দোয়া'টি নিয়মিত পাঠ করুন। সব রকম সমস্যা থেকে নাজাত পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

দুঃশ্চিন্তাগ্রস্তদের জন্য সান্তনা : কানযুল উম্মালে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই আয়াতটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হৃদয়কে প্রশান্তি দান করবেন।
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ 
এখানে ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের শর্তারোপ করা হয়েছে। কারো অন্তরে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে সুফল পাবে না।

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামিম দারি রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্য দশ বার পড়বে সে চল্লিশ লাখ সওয়াব পাবে।

বাক্যটি হলো- أَشْهَدُ أَنْ لاَ إله إِلاَّ الله، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، إِلهاً وَاحِداً أَحَداً صَمَداً لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَداً وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ উচ্চারণ: আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ইলাহান ওয়াহিদান- আহাদান সামাদান- লাম ইয়াত্তাখিজ সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদান; ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ। অর্থ: আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একা, তার কোনো শরিক নেই। একক উপাস্য, একাই, অমুখাপেক্ষী, তার স্ত্রী-সন্তান নেই। তার সমকক্ষও কেউ নেই।

শরীর ও হার্ট ব্যথা থেক মুক্তি লাভের দোয়া

মানুষের শরীরে অনেক সময় নানা ব্যথা বেদনা অনুভব হয়ে থাকে। এ ব্যথা বেদনা থেকে পরিত্রাণ পেতে হাদিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়া করার জন্য বলা হয়েছে।

হজরত ওসমান ইবনে আবুল আছ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একবার তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট তার শরীরের ব্যথার কথা জানালেন। জবাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার বেদনার জায়গায় হাত রাখ এবং তিন বার বিসমিল্লাহ বল এবং সাত বার এই দোয়া পড়-

উচ্চারণ : আউজু বিইযযাতিল্লাহি ওয়া ক্বুদরাতিহি মিন সাররি মা আঝিদু ওয়া উহাজিরু। (মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : আল্লাহ প্রতাপ ও তার ক্ষমতার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এবং ঐ বস্তু হতে, যা অনুভব করছি ও আশংকা করছি, তার অনিষ্ট হতে।সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো এ দোয়া এবং আমলটি করে ব্যথা থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারি।এছাড়া হার্ট বা হৃদপিণ্ড মানুষের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হৃদপিণ্ড সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, শরীরে একটি গোস্তের টুকরো আছে, যার এ টুকরোটি সুস্থ থাকবে, তার পুরো শরীরই সুস্থ থাকবে। আর যার এ গোস্তের টুকরোটি অসুস্থ হয়ে যাবে, তার পুরো শরীরই অসুস্থ হয়ে যাবে। আর তা সুস্থ রাখার উপায় হলো আল্লাহর জিকির।মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হার্ট বা হৃদপিণ্ড বর্তমান সময়ে অনেক বেশি রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। হার্ট বা হৃদপিণ্ডের ব্যথা বা যে কোনো রোগের সম্মুখীন হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।কুরআনে এই হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে ও ব্যাথামুক্ত রাখতে আয়াত রয়েছে। যারা নিয়মিত কুরআনের আমল করবে আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদপিণ্ডের ব্যথাসহ যাবতীয় রোগ-ব্যধিগুলো দূর করে দেবেন। আয়াতটি হলো-


উচ্চারণ : আল্লাজিনা আমানু ওয়া তাত্বমাইন্নু ক্বুলুবুহুম বিজিকরিল্লাহি আলা বিজিকরিল্লাহি তাত্বমাইন্নুল ক্বুলুবু।’ (সুরা রাদ : আয়াত ১৩)যে ব্যক্তি সুরা রাদের উল্লেখিত আয়াত নিয়মিত ৪১ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার হার্ট বা হৃদপিণ্ডের ব্যথা ও রোগ-ব্যাধি দূর করে দেবেন।




বিপদ পরলে যে দোয়া পড়তে হয়

স্বাভাবিকত বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়, হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক। কারন বিপদ বলে-কয়ে আসে না, যদিও বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়।
বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। পেরেশানির কুহেলিকা হটিয়ে দিতে পারেন।

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সা.) এর হাদিসে কিছু দোয়াও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন।’ (তিরমিজি মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২৪৫৪)

উচ্চারণ: ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’

অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরে ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দোয়ায়ে ইউনুস (আ.): রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২২৯২)।

উচ্চারণ: ‘লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন’ (সুরা আম্বিয়া: ২১/৮৭)
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

এই দোয়া পড়লে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হবে না


 মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের শরীরের মধ্যে রূহ দিয়ে পৃথিবীতে পাথিয়েছেন, আবার একদিন আল্লাহর নির্দেশে আমাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে।
তবে অনেক মানুষই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যায়। তেমনি আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করাও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যু থেকে বেঁচে থাকতে তাঁর উম্মতকে শিখিয়েছেন দোয়া ও আমল।

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগুনে দগ্ধ হওয়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়াটি পড়তেন। যারা এ দোয়াটি নিয়মিত পড়বে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আগুনে দগ্ধ হওয়াসহ অনেক দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত করবেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবুল ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي، وَالْهَدْمِ، وَالْغَرَقِ، وَالْحَرِيقِ،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا،
وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি ওয়াল হাদমি ওয়াল গারাক্বি ওয়াল হারিক্বি। ওয়া আউজুবিকা আইঁ ইয়াতাখাব্বাত্বানিশ শায়ত্বানু ইংদাল মাওতি, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা ফি সাবিলিকা মুদবিরা। ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা লাদিগা। (ইবনে মাজাহ)

অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
- উঁচু স্থান থেকে পড়ে এবং
- কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে এবং
- আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং পানি ডুবে যাওয়া থেকে।
আর আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
- মৃত্যুকালে শয়তান যেন আমাকে বিপথগামী করতে না পারে।
এবং আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
- আপনার পথে জিহাদ করার সময় যেন পালিয়ে মৃত্যুবরণ না করি।
এবং আপনার কাছে আশ্রয় চাই-
- যেন সাপ-বিচ্ছুর মৃত্যুবরণ না করি।

উল্লেখ্য যে, কোথাও আগুন লাগলে তা দেখে উচ্চস্বরে (اَللهُ اَكْبَر) তাসবিহ পড়া এবং আজান দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া জরুরি।

হজরত ইবরাহিম আলালাইহিস সালামের জন্য প্রজ্জ্বলিত করা আগুনের লেলিহান শিখা বন্ধ হতে আল্লাহ তাআলা আগুনকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে আগুণ বন্ধ হওয়ার জন্য দোয়া করা-
يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’
অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আগুনে মৃত্যুবরণ করা থেকে বিরত থাকাসহ বিপদ-আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত থাকতে উল্লেখিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Monday, November 5, 2018

ক্ষমা ও দয়া লাভের দোয়া


উচ্চারণ- রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা ফাইরুর রাহিমিন।

অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি রহম কর। তুমিতো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)




সুতরাং আল্লাহ তাআলা উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।