নূরানী স্কুল
ইমেইলঃ nuranischool@gmail.com
ফেসবুকঃ fb/NuraniSchoolPAGE
ইউটিউবঃ Nurani School
সম্পাদকঃ ওমর ফারুক

Header Ads

Showing posts with label ইসলাম গ্রহণের কাহিনী. Show all posts
Showing posts with label ইসলাম গ্রহণের কাহিনী. Show all posts

Thursday, September 5, 2019

মার্কিন বিশেষজ্ঞ ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা. অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম, আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে। মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না, আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই না।


আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন, সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি। আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময় নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই, যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও সান্ত্বনা দিতে এলাম। পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন। এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের নিরিখে।

অথচ আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম। তাহলে আমাদের এত গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম! আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ শিক্ষা পেয়ে এসেছে!


ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার অন্য শহরে চলে গেলাম, যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে। সেখানে আমি অধিকাংশ সময় নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম। আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায় আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।

Wednesday, September 4, 2019

জার্মানিতে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ লাখ!


বর্তমানে জার্মানিতে মুসলিমদের সংখ্যা চল্লিশ লাখের মতো, এই বিশাল সংখ্যক মুসলিম তাও আবার এমন একটি ইহুদি খ্রিষ্টানদের দেশে এলো কিভাবে ?

১৯৬০ এর দশক থেকে মুসলমানরা তুরস্ক থেকে জার্মানিতে হিজরত বা অভিবাসন করেন এবং মুসলমান সমাজ গঠন করেন। এখন সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা চল্লিশ লাখের মতো।
মুসলমানরা জার্মানিতে বহু মসজিদ, ইসলামী সংস্থা এবং ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। হামবুর্গে ইসলামিক সেন্টারের মতো মিউনিখ এবং আঁচে’তেও বিভিন্ন সংস্থা গড়ে উঠেছে। জার্মানিতে তৎপর এইসব ইসলামিক সেন্টারের কার্যক্রমগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তুরস্ক থেকে আসা মুসলমানরাই চালিয়ে থাকে। তুরস্কের ইসলামপন্থী দলগুলো সেদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার উপযুক্ত ক্ষেত্র না পেয়ে তারা তুরস্কের বাইরে চলে যায় এবং তাদের কর্মতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে তারা ইউরোপের দিকে যেতে পছন্দ করতো। এভাবেই তারা জার্মানি চলে যায় এবং নিজ দেশে কাজের উপযুক্ত ক্ষেত্র না পেয়ে বাধ্য হয়ে তারা জার্মানিতে তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করে।

জার্মানিতে তাদের এরকম কার্যক্রম পরিচালনার একটি প্রতিষ্ঠান হলো ‘গোরুশ’ জাতীয় সংস্থা। ইরানেও ইসলামী বিপ্লবের বিজয় জার্মানিতে তৎপর ইসলামী দল ও সংস্থাগুলোর ভেতরে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল। মুসলমানদের কর্মতৎপরতার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক ছিল তাদের সন্তানদেরকে ইসলামী শিক্ষাদীক্ষা দেওয়া। জার্মানিতে মুসলমান ছাত্রদের শতকরা নব্বুই ভাগ ইসলামী শিক্ষার ক্লাসগুলোতে যায় এবং শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ছাত্র অংশ নেয় কুরআন শিক্ষার ক্লাসে। জার্মানির স্থানীয় মুসলমানরা বিশেষ করে যুবক শ্রেণী সেদেশে ইসলামী সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জার্মানির একজন খ্যাতিমান মুসলিমের নাম হলো মুরাদ বেলফার্ড হফম্যান। তিনি মরক্কোতে জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মুসলমান হবার পর তিনি জার্মানির সমাজে ইসলামকে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যার সাড়ে তিন ভাগই ছিলো মুসলমানরা।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা উত্তর আফ্রিকা এবং তুরস্ক থেকে এই দেশে হিজরত করে। ১৯৭০ সালের প্রথম দশকগুলোতে ব্রাসেললে সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালের শেষ নাগাদ ৩০০ মসজিদ এবং হোসাইনিয়া তৈরি হয়েছিল বেলজিয়ামে। বেলজিয়ামের মুসলমানরা প্রধানত মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং মুসলিম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কাছ থেকে প্রেরণা লাভ করেছে।

হল্যান্ডেও ১০ লাখের মতো মুসলমান রয়েছে। এই সংখ্যা হল্যান্ডের মূল জনসংখ্যার ছয় ভাগ। এখানকার মুসলমানরাও উত্তর আফি্রকা এবং তুরস্ক থেকে এসেছে। ১৯৭৯ সালে হল্যান্ডে তুর্কিদের সাংস্কৃতিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে ইসলামী বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলার ধারা সৃষ্টি হয়। মসজিদসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ইসলামিক সেন্টার এতো বেশি গড়ে ওঠে যে ১৯৮০’র দশকে সেখানে মসজিদের সংখ্যা দাঁড়ায় পঞ্চাশে। হেগের মুসলমানরা মুসলিম তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে ‘কেবলা’ নামক ম্যাগাজিন ছাপেন। এই কেবলা ইসলামী আদর্শ ও বিধি বিধানগুলোর প্রচার প্রসারে নানামুখি প্রভাব ফেলেছিল।

ইউরোপের একটিমাত্র দেশ আলবেনিয়া, যেখানে পুরো জনসংখ্যার সত্তুর ভাগই হলো মুসলমান। বলকানের ওপর ওসমানী আধিপত্যের সময় তাঁরা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এদিক থেকে আলবেনিয়ার মুসলমানদের ভিত যথেষ্ট মজবুত। সেখানে কমিউনিজমের পতনের ফলে ধর্মীয় বা মাযহাবি কর্মকাণ্ড পরিচালনার উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। সাবেক যুগোস্লাভিয়াতেও ত্রিশ লাখেরও বেশি মুসলমান বসবাস করতেন। দেশটি ওসমানী সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসার পর ব্যাপক চাপের মুখে পড়ায় বেশিরভাগ মুসলমানই তুরস্কে চলে গিয়েছিল।




দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর মুসলমানরা তরুণ মুসলিম বহু সংস্থা গড়ে তুলেছিল। আলহেদায়া এবং মারহামাত নামের দুটি যুব সংগঠন চেষ্টা করেছিল বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনার মতো দেশ দুটোর আদলে স্বাধীনতা অর্জন করতে। কিন্তু যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদের শক্তি খর্ব হয়ে যায় এবং তাদের নেতাদের কেউ কারাবন্দী হয় আবার কারো বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ হয়। ১৯৬০ এর দশকে যুগোস্লাভিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পর এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে ওঠার পর যুগোস্লাভিয়ায় মুসলমানদের অবস্থার উন্নতি ঘটে। এ সময় বহু মাদ্রাসা এবং মসজিদ গড়ে উঠেছিল। মুসলিম বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আলি ইযযাত বেগোভিচ ইসলামী বিবৃতি প্রকাশ করার পর ইসলামী কর্মতৎপরতা উন্নয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়।

ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের ফলেও যুগোস্লাভিয়া সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই ১৯৮৩ সালে বেগোভিচ আরো ১২জন মুসলিম নেতাসহ দীর্ঘ মেয়াদে কারাবন্দী হয়ে পড়েছিলেন। যুগোস্লাভিয়া আলাদা হবার পর বেশিরভাগ দেশ বিশেষ করে সার্বিয়ার মতো দেশ চেষ্টা করেছিল ইউরোপের ভেতর যেন কোনো মুসলিম দেশ গড়ে উঠতে না পারে। এই লক্ষ্যে বসনিয়ার মুসলমানদের ওপর তারা গণহত্যা চালিয়েছিল। এই গণহত্যার ফলে বসনিয় মুসলমানরা উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে বসনিয় মুসলমানদের মাঝে যেমন তেমনি বিশ্ব মুসলমানদের মাঝেও আত্মসচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

আমেরিকায় প্রথম পর্যায়ের মুসলমানরা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। দাস ব্যবসার জন্যে তাদেরকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই বাধ্য হয়েছিল নিজেদের নাম পরিচয় পরিবর্তন করতে। এর ফলে সামাজিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এক্স ফ্যামিলি’র পক্ষ থেকে এরকম একটি আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল। মালকুল এক্স নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ নেতার নেতৃত্বে আন্দোলনটি গড়ে উঠেছিল। এই আন্দোলনটি ছিল মূলত মার্কিন সমাজে কৃষ্ণাঙ্গদের মর্যাদাহানী করার বিরুদ্ধে এবং তাদের ওপর বিচিত্র জুলুম নির্যাতন চালানোর বিরুদ্ধে এক ধরনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। তিনি তাঁর নিজ ধর্ম ইসলামের জায়গায় খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। সেইসাথে ফ্যামিলি নেইম ‘লিটল’ তাঁর পছন্দ হচ্ছিল না, কেননা এই নামটি শ্বেতাঙ্গ দাস ব্যবসায়ীরাই তাঁকে দিয়েছিল।

১৯৮০’র দশকে বহু মুসলমান আমেরিকায় গিয়েছিল একটা ইসলামী পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে। তাঁরা চেষ্টা করেছিল তাবলিগ বা প্রচারের মাধ্যমে এবং মসজিদ মাদ্রাসা, ছাপাখানা, প্রকাশনাসহ ব্যাংকের মতো অর্থনৈতিক অনেক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা হয়েছিল। এসবের পেছনে সবচেয়ে বেশি শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছিলেন ভার্সিটি ছাত্ররা। এরপর একের পর এক গড়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বহু সংগঠন। এমস, এস, এ, মুসলিম ব্রাদারহুড এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনগুলো এ সময়ই গড়ে উঠেছিল।

মালয়েশিয়ার নওমুসলিম ইব্রাহিম কাভানের ইসলাম গ্রহণের কাহিনী

মালয়েশিয়ার নওমুসলিম ইব্রাহিম কাভান প্রথম জীবনে ছিলেন একজন বৌদ্ধ ও এরপর তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। শেষ পর্যন্ত পবিত্র কুরআন ও ইসলামী সমাজের নানা আকর্ষণে মুগ্ধ হয়ে তিনি গ্রহণ করেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম।

'কাভান' জন্ম নিয়েছিলেন এক বৌদ্ধ পরিবারে। ছয় বছর বয়সে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল একটি চীনা স্কুলে। সেখানে কাভান কনফুসিয়াসের চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি নয় বছর বয়সে কুয়ালালামপুরের ভিক্টোরিয়া স্কুলে ইংরেজি ভাষা শেখেন। কিছু দিন পর পরিচিত হন বাইবেলের সঙ্গে এবং কয়েক বছর পর খ্রিস্টান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কাভান খ্রিস্ট ধর্মের শিক্ষা এতটা রপ্ত করতে সক্ষম হন যে একজন পাদ্রি হিসেবে গির্জায় উপদেশ দিতেন। কিন্তু একদিন গির্জায় যাওয়ার পথে এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে তার সাক্ষাত ঘটে। আর এই সাক্ষাতই ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের মোড়। তিনি সেদিনের সেই ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন:

"'কুয়ালালিপস' গির্জায় বক্তব্য রাখার জন্য যাওয়ার পথে এক ভারতীয় মুসলমানের সঙ্গে দেখা হয়। তার সঙ্গে আগেই পরিচয় হয়েছিল। তিনি সেদিন আমাকে ইংরেজিতে অনূদিত পবিত্র কুরআনের একটি কপি উপহার দেন। কাকা মুহাম্মাদ নামের ওই ব্যক্তি এসেছিলেন এ জন্যই। তিনি অন্যদের কাছে ইসলামের শিক্ষা প্রচারে খুবই আগ্রহী ছিলেন। তাই ইংরেজিতে অনূদিত পবিত্র কুরআনের একটি কপি সংগ্রহের পরই তিনি তা আমার জন্য নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে কুরআনের ওই কপিটি নেয়ার পর সেদিনই তা পড়তে আগ্রহী হই। প্রথমেই কুরআনের বিষয়বস্তুগুলো আমাকে বেশ আকৃষ্ট করে ও এসবের মাধ্যমে প্রভাবিত হই। কিন্তু ওই প্রভাব এতটা ব্যাপক ছিল না যে তখনই মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত মাথায় আসতে পারে। এ ঘটনার পর কিছু দিন কেটে যায়। সে সময় খ্রিস্টানদের নানা গ্রুপের ভিন্ন ভিন্ন গির্জার মধ্যে মতভেদ ও উত্তেজনা আমাকে খুবই দুঃখিত এবং হতবাক করেছিল। এইসব বিষয়সহ আরো কিছু বিষয়ের প্রভাবে আমি ইসলাম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে এইবার খুব মনোযোগ দিয়ে কুরআন পড়লাম এবং বেশ গভীরভাবে প্রভাবিত হলাম।"

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ একত্ববাদের ওপর বেশ জোর দিয়েছেন। আর এ বিষয়টিও গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছে কাভানকে। তার মতে ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মের মধ্যে পার্থক্যের সবচেয়ে বড় দিক হল এই বিষয়।

ইসলামের ও পবিত্র কুরআনের শিক্ষার অন্য যে দিক মালয়েশিয় নও-মুসলিম কাভানকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছে তা হল, মানুষের জীবনের সব দিকের প্রতি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টি এবং যে কোনো বিষয়ে শৈথিল্য বা বাড়াবাড়ি থেকে দূরে থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ। কাভান এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমার মতে বিশ্ব কোনো কোনো মতবাদের একপেশে দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নানা সংকটের শিকার হয়েছে। কেউ কেউ কেবল মানুষের আধ্যাত্মিক দিকগুলোকেই গুরুত্ব দেন এবং মানুষের পার্থিব সব বিষয়কে পুরোপুরি উপেক্ষা করেন। অন্যদিকে কেউ কেউ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিকগুলোকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। এই দুই ধরনের মানুষই বাড়াবাড়িতে লিপ্ত। বিশ্বজুড়ে এ ধরনের চরম পন্থা মানুষকে প্রশান্তি থেকে দূরে রাখছে। বিশ্বে নানা যুদ্ধ, সংঘাত ও মতভেদ এ ধরনের চরমপন্থা, ক্ষমতা-লিপ্সা ও নানা ধরনের লোভ-লালসারই ফসল।'

মালয়েশিয় নও-মুসলিম কাভান এ বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন: পাশ্চাত্যে আজ ভারসাম্যহীনতা খুবই স্পষ্ট। পাশ্চাত্য হচ্ছে এমন এক ভবনের মত যার বাইরে রয়েছে ব্যাপক চাকচিক্য, কিন্তু ভেতরটা শূন্য ও দুর্বল। তারা যেন এমন এক পাত্র তৈরি করেছে যা উত্তেজনা আর নানা অবিচারে ভরপুর। তারা বিজ্ঞানকে শরীরের ভোগ-বিলাস বা আরামের কাজে ব্যবহার করছে, কিন্তু আত্মাকে দারিদ্র ও উদ্বেগের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে। বস্তুবাদী সভ্যতার বিপদ হল এটা যে, এই সভ্যতা আধ্যাত্মিকতাকে পরিহার করেছে এবং এমনকি আধ্যাত্মিকতাকে মানুষের বস্তুগত নানা খাহেশের সেবায় নিয়োজিত করেছে। অথচ ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করে আমি জেনেছি যে এ ধর্ম সব ধরনের চরমপন্থা থেকে মুক্ত।'

ইসলামের আরো একটি বড় দিক মালয়েশিয় নও-মুসলিম কাভানকে মুগ্ধ করেছে। আর এ দিকটি হল, ইসলামী বিধানের পরিপূর্ণতা। ইসলাম পার্থিব ও পারলৌকিক সব বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। আর এ জনই ইসলাম একত্ববাদ, পরকাল বা বিচার দিবস ও নবুওতকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এইসব বিষয় পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন, সৎ কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের শাস্তির জন্যই পরকাল বা বিচার-দিবস থাকাটা জরুরি।

কাভান বলেছেন: ইসলাম বৈষয়িকতা বা পার্থিব কিংবা বস্তুগত বিষয় ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ভারসাম্যের নীতিতে বিশ্বাসী। এ জন্য ইসলামের রয়েছে চমতকার কর্মসূচি। ইসলাম বিধানগুলো খুবই যৌক্তিক ও বিবেক-সম্মত। কুরআন অতীতের ঐশী ধর্মগ্রন্থগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তৌহিদ বা একত্ববাদের সৌন্দর্য সম্পর্কে কথা বলে। এইসব সৌন্দর্যের কারণেই আমি ৪২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি এবং নিজের জন্য ইব্রাহিম কাভান নামটি বেছে নিয়েছি।'

ইব্রাহিম কাভান সবশেষে বলেছেন: 'আমি মুসলমান হতে পারার জন্য মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ও সৌভাগ্যবান হয়েছি বলে পুরোপুরি অনুভূব করছি।'

Tuesday, September 3, 2019

জাপানি নওমুসলিম নাকাতার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী

জাপানি নওমুসলিম নারী 'কাওয়ারায়ি নাকাতা' কখনও স্রস্টা সম্পর্কে তেমন মনোযোগ দিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেননি। এমন ভাবনার দরকার ছিল বলেও ভাবেননি কখনও। তিনি সত্যকে পেয়েছিলেন অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের পর। নাকাতা কখনও ভাবেননি যে সত্যকে এভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: 'আমার জীবনের সব কিছুই চলছিল ভালভাবে। আমি সৌভাগ্য অনুভব করতাম। কখনও আল্লাহর অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। কিন্তু হঠাৎ আবিস্কার করি যে, আমার জীবন পুনরাবৃত্তিতে একঘেয়ে হয়ে আছে ও জীবনের কোনো অর্থ নেই। তখন থেকেই সত্যকে খুঁজতে থাকি। নানা ধর্মের প্রচারকরা আমার বাসায় এসেছেন বেশ কয়েকবার। সে সময় খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারের জন্য একজন মহিলা নিয়মিত আমার বাসায় আসতেন। তিনি আমাকে বাইবেল শেখাতেন ও আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে তা শিখতাম। কিন্তু আমি যার খোঁজ করছিলাম তা পেলাম না।”

নওমুসলিম মিসেস নাকাতা আরো বলেছেন: 'আমি বসবাস করতাম কিয়েটো নামক ঐতিহাসিক শহরে। এই শহরে রয়েছে নানা ধরনের উপাসনালয়। আমাদের বাসভবনের কাছেই ছিল একটি ইবাদতকেন্দ্র বা উপাসনালয়। আমি প্রতিদিন সকালে সেখানে যেতাম ও প্রার্থনা করতাম। তিন মাস ধরে প্রতিদিন এই প্রার্থনা অব্যাহত রেখেছিলাম। সত্যের সন্ধানেই এই প্রার্থনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। দোয়ায় মনোযোগ নিবিষ্ট বা কেন্দ্রীভুত করা ছিল বেশ কঠিন। তবে তা ছিল খুবই আনন্দদায়ক। কিন্তু কিছুদিন পরই অনুভব করলাম যে আমার ভেতরের জগত ও বাইরের বাস্তবতার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক ব্যবধান। তাই আমি হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। অথচ আমি উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে জীবন যাপন করতে আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমার প্রচেষ্টায় কোনো ফল হয়নি।'



এর কিছুকাল পর নওমুসলিম মিসেস নাকাতা জীবনের গতিপথ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। পড়াশোনা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি ফ্রান্সে যান। আর এখানেই ঘটে তার জীবনে যুগান্তকারী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রসঙ্গে নাকাতা বলেছেন:

'ফ্রান্সে পরিচিত হই এক মুসলমানের সঙ্গে। তিনি নিজের ধর্ম ইসলামকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন ও সমস্ত শক্তি আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এ ধর্মের পক্ষে কথা বলতেন। তার ওই দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস দেখে আমার নিজের জন্য অনুশোচনা হত। কারণ, আমি দীর্ঘ বহু বছর ধরে আত্মিক প্রশান্তি খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আর এ জন্য অনেক গবেষণা ও পড়াশুনার পর যখন হতাশায় ডুবে ছিলাম তখন দেখলাম যে এই মুসলমান ইসলামকে ভালবাসতেন গভীরভাবে ও এর ছায়াতলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করছেন। তাই আমি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে গবেষণার সিদ্ধান্ত নিলাম যাতে এ ধর্মের অনুসারীদের এত গভীর আত্মিক প্রশান্তির উৎস সম্পর্কে জানতে সক্ষম হই। সে সময় পর্যন্ত অনেক ধর্ম আমাকে আকৃষ্ট করলেও ইসলামের প্রতি একবারও আকৃষ্ট হইনি।'

জাপানি নওমুসলিম মিসেস নাকাতা ফরাসি ভাষায় অনূদিত পবিত্র কুরআনের একটি কপি সংগ্রহ করেন ও তা পড়তে থাকেন। এ মহাগ্রন্থ পড়ার সময় তিনি অনুভব করেন যে, এ আসমানি বই পড়ার জন্য কারো সাহায্য নেয়া জরুরি। ফলে হঠাৎ বিদ্যুতের মতই নাকাতার মাথায় এক ঝলকের মধ্যে ভেসে উঠল সেই মুসলিম মহিলার মুখখানি। ফলে তিনি মুসলমানদের ইবাদত-কেন্দ্র তথা মসজিদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নাকাতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন:

'অবশেষে একদিন মসজিদে গেলাম। মসজিদের পরিবেশ ছিল আমার জন্য এক অচেনা ও অপরিচিত জগত। কিন্তু বিস্ময়কর এক প্রশান্তি অনুভব করলাম। মসজিদটি ছিল এক বিশেষ আধ্যাত্মিক সুরভিতে ভরপুর। নীরবতা সেই পরিবেশকে করেছিল আরো প্রাণস্পর্শী ও মধুর। প্রাণজুড়ানো সেই আধ্যাত্মিক পরিবেশের আকর্ষণ আমাকে টেনে নিল মসজিদের ভেতরে। ধীরে ধীরে পা ফেলছিলাম। আমার কানে ভেসে আসছিল এক বিশেষ আহ্বান বা সুসংবাদ। তাতে বলা হল যে তুমি শিগগিরই সত্যকে খুঁজে পাবে।'

এ সময় মসজিদের বারান্দায় বই-পুস্তকের একটি ছোট্ট দোকান দেখলাম। কাছে গিয়ে বিক্রেতাকে বললাম:

'আমি এমন একজনকে খুঁজছি যে ইসলামকে আমার কাছে পরিচিত করবে। সে আমাকে মসজিদের লাইব্রেরিতে নিয়ে গেল। সেখানে পৌঁছে দেখলাম যে একদল মুসলিম মহিলার জন্য ধর্ম বিষয়ক ক্লাস চলছিল এবং তা মাত্র কিছুক্ষণ আগে শেষ হল। সেই প্রথম আমি হিজাব পরিহিতা কোনো মুসলিম নারীকে দেখেছিলাম। তারা আমার প্রস্তাব শুনে খুব খুশি হয়ে আমাকে স্বাগত জানালেন। তারা ছিলেন সবাই সক্রিয়, প্রাণোচ্ছ্বল ও প্রফুল্ল। তাদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী প্যারিসে যে কয়েকটি বৈঠক হতো তাতে উপস্থিত হতাম। মুসলমানদের এইসব বৈঠকে আমার উপস্থিতি ধীরে ধীরে আমার মানসিকতাকে বদলে দেয় এবং বেশ কিছু বই পড়ার পর ইসলাম সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে যায়। আমি বুঝতে পারলাম যে ইসলামে কোনো কিছুই জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয় না। ইসলাম জীবন যাপনের যৌক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পথ দেখায়। কোনো কোনো ধর্ম বা মতবাদ সব ধরনের বস্তুগত, জৈবিক বা পার্থিব চাহিদাকে উপেক্ষা করে কেবল পারলৌকিক বিষয়কে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু ইসলাম আত্মা ও শরীরের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে বলে। অর্থাৎ ইসলাম আত্মিক ও শারীরিক উভয় চাহিদাকেই গুরুত্ব দেয়।’

জাপানি নওমুসলিম মিসেস নাকাতা ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণার পর এ ধর্ম সম্পের্ক নানা বাস্তবতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ইসলাম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মানুষের মূল্য নির্ভর করে তার ঈমান ও সৎ কর্ম সম্পাদনের ওপর। যখন খ্রিস্ট ধর্মের পেছনে ছুটতাম তখন এ ধর্মের পক্ষ থেকে বলা হত যে আমাদের পাপগুলো জন্মগত। অথচ এ কথা আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে মোটেই যৌক্তিক বা বোধগম্য নয়। কিন্তু ইসলাম বলে সব মানুষই জন্মগতভাবে পবিত্র ও নিরপরাধ; আর পরবর্তীকালে প্রত্যেক মানুষ নিজেই তার পাপের জন্য দায়ী। আর এ কথা খুবই যৌক্তিক। ইসলাম খুবই সহজ ও স্বচ্ছ ধর্ম। এ ধর্মে কোনো জটিল তত্ত্ব নেই।’

জাপানি নওমুসলিম মিসেস নাকাতা মুসলমানদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বেশ আনন্দ ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছিলেন। যেসব মুসলিম মহিলা তাকে পথ প্রদর্শন বা গাইড করছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন নাকাতা এবং মুসলমানদের প্রথা ও রীতিগুলো রপ্ত করে নেন তাদের কাছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন:

'আমি তাদের সঙ্গে মসজিদে যেতাম ও তাদের চাল-চলন বা গতিবিধি খুব আগ্রহ নিয়ে লক্ষ্য করতাম। অনেক সময় তাদের সম্মান দেখানোর জন্য তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নামাজের অঙ্গভঙ্গিগুলো করে যেতাম যদিও নিজেও বুঝতাম না যে নামাজ আদায় করছি। মুসলমানদের আলোচনা অনুষ্ঠানগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে থাকি। যেসব বক্তব্য শুনতাম সেসবকে আমার হৃদয় যেন শুকনো মাটি বা বালির দ্রুত পানি শুষে নেয়ার মতই গ্রহণ করত। এসব বক্তব্য আমাকে দিত আধ্যাত্মিক আনন্দ। ধীরে ধীরে অনুভব করলাম যে বহু বছর ধরে আমি যে সত্যের সন্ধান করছি তা পেয়েছি। অবশ্য এ জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। যতই ইসলাম সম্পর্কে বেশি তথ্য জানছিলাম ততই এ ধর্মকে গ্রহণের ইচ্ছাও আমার মধ্যে জোরদার হচ্ছিল। অবশেষে এই সাক্ষ্য দিলাম যে, আল্লাহ এক এবং মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর রাসূল। '

নামাজ মিসেস নাকাতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তার মতে নামাজ মানুষের বিশ্বাস বা ঈমানকে সুদৃঢ় করে। মুসলমান হওয়ার পর প্রথম নামাজ আদায়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নাকাতা বলেছেন:

'যখন প্রথমবার সিজদার উদ্দেশ্যে কপাল মাটিতে রাখলাম এক ও দয়ালু আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে তখন আমার মধ্যে দেখা দিয়েছিল অসাধারণ অনুভূতি এবং নিজের মাথা জমিন থেকে ওঠাতে পারছিলাম না। যখনই সিজদায় যেতাম তখনই আল্লাহর অস্তিত্বকে ও ঈমান বা বিশ্বাসের অর্থকে বেশি মাত্রায় অনুভব করতাম। আর এটা ছিল এক সুন্দর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা যা আমি অন্য ধর্মগুলোর মধ্যে পাইনি।'

জাপানি নওমুসলিম মিসেস নাকাতা কিছুকাল পর মিশরে যান আরবী ভাষা ও ইসলামী শিক্ষা আরো ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য। আরবী ভাষা ভালোভাবে বোঝার পর নাকাতা কুরআনের বাণীর অর্থগুলো আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে থাকেন: তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আরবী ভাষা মোটামুটি বোঝার পর কুরআনের সৌন্দর্য আমাকে বিমুগ্ধ করছে। কুরআনের বিষয়বস্তুগুলো ছাড়াও এর সুরও অশেষ সৌন্দর্যে ভরপুর। কুরআন বার বার পড়লেও ক্লান্ত হওয়া তো দূরের কথা বরং আমার অন্তর যেন সৌভাগ্যের সাগরে অবগাহন করতে থাকে। মহান আল্লাহ আমাকে এই সৌভাগ্য নসিব করেছেন বলে আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আমি ইসলামকে আমার দেশের জনগণের কাছে তুলে ধরছি। যে সৌভাগ্য কেবল এক আল্লাহকে চেনা ও জানার মাধ্যমে পাওয়া যায় সে সৌভাগ্য তারাও অর্জন করুক- এই আমার প্রার্থনা। আমি সুনিশ্চিত যে আল্লাহর ওপর ভরসার সুবাদে সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।'

ইসলামবিদ্বেষী ডাচ এমপির ইসলাম ধর্মগ্রহণ

সম্প্রতি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন কট্টর ডানপন্থী ও ইসলামবিদ্বেষী ডাচ পার্লামেন্টের সাবেক এমপি জোরাম ভ্যান ক্লাভেরেন (৩৯)। ইসলামবিরোধী বই লেখার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে তার ভুল ভাঙে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডাচ রেডিও’র বরাতে দ্য পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জোরাম ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করলেও গত সোমবার তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন।

ভ্যান ক্লাভেরেন দেশটির চরম ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির (পিভিভি) এমপি হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টে দায়িত্ব পালন করেন। নিকট অতীতে বিভিন্ন সময়ে তিনি ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন।


হল্যান্ডের এনআরসি সংবাদপত্র জানাচ্ছে, জোরাম একবার বলেছিলেন, ‘ইসলাম মানেই হলো মিথ্যাচার’ এবং ‘কুরআন একটি বিষাক্ত গ্রন্থ।’

আগের এমন বক্তব্যের জন্য অনুশোচনা হচ্ছে কিনা সংবাদপত্রটির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে, জোরাম বলেন, ‘ওই বক্তব্য খুবই ভুল ছিল। আমাদের দলের (পিভিভি) নীতিই ছিল যা কিছু মন্দ তার সাথে কোনো না কোনোভাবে ইসলামকে জড়িয়ে ফেলা।’

জোরাম তার রাজনৈতিক দলের আরেক সাবেক এমপি আর্নড ভ্যান ডোর্নের পদাঙ্ক অনুসরণ করেণ। কয়েক মাস আগে ডোর্নও ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন।

জোরামের ইসলাম গ্রহণের পর ডোর্ন টুইট করে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি কখনো ভাবতেও পারিনি পিভিভি ধর্মান্তরিতদের একটি সেন্টারে পরিণত হবে!’

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী মার্কেটা কোরিনকোভা

সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ব্রিটেনের ফ্যাশন ডিজাইনার ও অভিনেত্রী মার্কেটা কোরিনকোভা। একই সঙ্গে নিজের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছেন মরিয়ম। চেকোস্লোভাকিয়ান বংশোদ্ভূত এই সুন্দরী ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে দুবাইয়ে এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

Marketa-Korinkova মার্কেটা কোরিনকোভা বলেন, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং দুবাইয়ে বসবাস করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত তিন বছর ধরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন মার্কেটা। পরে দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খ্রিস্টানধর্ম ত্যাগ করেন। স্থানীয় আরবি ভাষার দৈনিক আল কুদস-আল আরাবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপার মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মার্কেটা কোরিনকোভা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে তার ফ্যানদের অবাক করেছেন।


তিনি ইতালিতে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এরপর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পান। হলিউডের একটি ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয়েরও সুযোগ পান সাবেক এই সুন্দরী। দুবাইয়ের আলি অ্যান্ড সনস গ্রুপস অব কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার পদে যোগ দিয়েছেন মার্কেটা।

অ্যালান রুনির ইসলাম গ্রহণের কাহিনী

স্কটল্যান্ডের পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা শ্বেতাঙ্গ অ্যালান রুনির জীবনে কখনোই কোনো মুসলিমের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়নি। তবে আল্লাহ তায়ালা তার সকল বান্দার কাছেই ইসলাম এর বানী পৌঁছে দেন।

এভাবেই হঠাৎ একদিন তার কানে ভেসে এলো আজানের সুমধুর ধ্বনি। এটা তাকে বিমোহিত করে। এরপর তিনি পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন। অবশেষে তিনি ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী নিয়ে ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় এক নিবন্ধ লিখেছেন রুনি।

আসুন তার বয়ানেই শুনি সেই মনোমুগ্ধকর কাহিনী:

‘তুরস্ক ভ্রমণকালে আমি একটি সৈকতে ছিলাম। সে সময় স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। আমি এটা শুনলাম এবং নিজের ভেতরে নতুন কিছু অনুভব করতে লাগলাম। এটা আমাকের আধ্যাত্মিকতার সন্ধান করতে অনুপ্রাণিত করলো।

দেশে ফিরে আমি স্থানীয় একটি লাইব্রেরিতে গিয়ে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন শুরু করলাম। অধ্যয়ন করার সময় আমি ঈশ্বরকে বলতাম আমি যে যাত্রা শুরু করেছি তাতে তোমার পথনির্দেশনা চাই।

কোরআন অধ্যয়নের সময় আমি বহুবার প্রার্থনা করেছি।

পবিত্র কোরআন আমাকে বিমোহিত করে। এটা বিস্ময়কর একটি গ্রন্থ যেখানে আমি দেখতে পাই যে আমাদের নিজের সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে যা আমার মধ্যে নেই। আমি নিজেকে কিছুটা বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই।

আমি জানতাম আমি যে কোনো সময় কোরআন অধ্যয়ন শেষ বন্ধ করে দিয়ে এই প্রক্রিয়ার সমাপ্তি টানতে পারি। কিন্তু আমি জানতাম এটা করা হলে তা হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছেড়ে যাওয়া।

এবং আমি জানতাম যে এই প্রক্রিয়ার শেষ হলো আমি একজন মুসলিম হবো। কাজেই আমি অধ্যয়ন অব্যাহত রাখলাম। আমি তিনবার কোরআন অধ্যয়ন করলাম। আমি প্রতিটি বিষয়ে স্বস্তি অনুভব করলাম।

আমি অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে সময় কাটাতে লাগলাম যাতে আমার মত কারো অভিজ্ঞতা হয়েছে কিনা তা জানা। কিন্তু দেখলাম ইসলামের পথে প্রত্যেকের যাত্রাই অতুলনীয়।

এই প্রক্রিয়ায় আমার ১৮ মাস সময় লাগলো। কারো এর চেয়ে বেশি সময় লাগে, কারো লাগে কম সময়। তবে আমি এটা নিজেই করলাম, কারো সহায়তা ছাড়াই। তখন পর্যন্ত আমি কোনো মুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করিনি।

১৮ মাস পরে আমি নিজেকে মুসলিম হিসেবে ভাবতে লাগলাম। আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, রোজা রাখি এবং কোরআনের নির্দেশ অনুসারে পানাহার করি।

পরে আমি দেখতে পাই আমার শহরে ছোট একটি মসজিদ আছে। আমি নিজেই সেখানে গেলাম, দরজায় কড়া নাড়লাম এবং নিজের পরিচয় দিলাম।

তারা প্রথমে আমাকে দেখে বিস্মিত হলো এবং আমাকে তাদের সম্প্রদায়ে স্বাগত জানালো। শুরু থেকেই তারা আমাকে গ্রহণ করলো এবং এখন আমি এই সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

অবশ্যই, আমার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।

পবিত্র কোরআনের শিক্ষা মানলে আপনি নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারবেন।

আমি এখন একজন শ্বেতাঙ্গ, মধ্যবয়সী স্কটিশ মুসলিম এবং এটা নিয়ে আমি সুখী।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ দৈনিক দা ইন্ডিপেনডেন্টে প্রকাশিত অ্যালান রুনির নিবন্ধ
ভাষান্তর: ফাতিমা ফেরদৌসী আশা।

যেভাবে চলচিত্র জীবন ত্যাগ করে ইসলামে ফিরে এলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম

কুড়ি বছর বয়সী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। জনপ্রিয়তা, প্রশংসা অর্থ সম্পদ সব কিছুই গোড়ে ছিলেন সুন্দর করে। আমির খানের মত সুপারস্টারদের সাথে এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এত অল্পসময়ে সবকিছু পেয়েও তার মনে হচ্ছিল জীবনে কী যেন নেই! এক অপূর্ণতায় এত অর্জন সব ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

কী সেই অপূর্ণতা? এ অপূর্ণতা আসমান ও জমীনের রব থেকে দূরে থাকার। আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পূজা করার। ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ) বলতেন, “প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা, যা কেবল আল্লাহ্‌র কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে এক শূন্যতা রয়েছে, সেটা কেবল আল্লাহ্‌র কাছে ফিরে গেলেই দূর করা সম্ভব। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে রয়েছে ভয় আর উৎকণ্ঠা, যা কেবল আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় নিলেই দূর করা সম্ভব। আর প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে হতাশা, যেটা কেবল আল্লাহ্‌র উপরে সন্তুষ্ট হলেই দূর করা সম্ভব।” (আল ওয়াবিলুস সাইয়্যিব, ১/৭১)


এই অপূর্ণতা সবাই বুঝতে পারে। বিশাল অট্টালিকার মালিক থেকে শুরু করে যারা বস্তিতে থাকে, তারাও পারে। তবে অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না দুনিয়াটাকে পাশ কাটিয়ে রবের কাছে ফেরার। জায়রা ওয়াসিম পেরেছেন। প্রত্যাবর্তন করেছেন জীবনের মূল উদ্দেশ্যে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে অনুরোধও করেছেন জীবনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে একবার ভাবতে। সবচেয়ে অবাক হয়েছি, সে স্ট্যাটাসের বিভিন্ন জায়গায় উনি যেভাবে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতকে উদ্ধৃত করেছেন। এতে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে, কতোটা মন দিয়ে উনি কুরআন পড়েছেন, ভেবেছেন, উপলব্ধি করেছেন। আল্লাহর কালাম শুধু উনার কণ্ঠনালীতে না অন্তরেও পৌঁছেছিল।

তার এই সিদ্ধান্তটাকে অনেকে সমালোচনা করেছেন। টিভি-মিডিয়াতে চলছে নিন্দার ঝড়। আল্লাহর জন্য তিনি ক্যারিয়ারটাকে বিসর্জন দিয়েছেন জানতে পেরে শ্রীমতী তসলিমা নাসরিন টুইট করেও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। ‘কী উদ্ভট ধর্ম রে বাবা, জীবনে সফল হতেও বাধা দেয়!’

তবে আমরা মুসলিমরা তো সফলতাটাকে অন্য চোখে দেখি। কারা সফল? যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন-
“যাকে জাহান্নামের (আগুন) থেকে দূরে রাখা হবে, আর জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে- সেই-ই সফল। আর দুনিয়ার জীবন তো কিছুই নয় ভ্রান্তিময় ছলনা ছাড়া।” (সূরা আলে ইমরান ৩:১৮৫)

দুনিয়ার এই জীবন যেন আমাদের ধাঁধায় না ফেলে তার জন্যে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। যারা আল্লাহর দ্বীনকে বিক্রি করে এই দুনিয়ার জীবনে সফল- চাই সে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার, এমপি, প্রধানমন্ত্রী- যেই হোক না কেন, তারাও আমাদেরকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। আমাদের বোন জায়রা ওয়াসিম যাদের ব্যাপারে আমাদের সাবধান করেছেন-
“Don’t look for role models or measures of success in the displeasure of Allah and the transgressions of His commandments. Do not allow such people to influence your choices in life or dictate your goals or ambitions.”