হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নিজেই বলে গেছেন, তিনি কিছু পয়সার বিনিময়ে অন্যলোকেরও মেষ চরাতেন । আমাদের দেশের মেষপালক বালকদের মতো তিনি উন্মুক্ত প্রান্তরে সারাদিন পালাক্রমে মেষ চরাতেন । পরবর্তীকালে যখন তাঁর সাহাবীগণ (সহচর) তাঁকে পাকা জাম এনে দিতেন, তখন তিনি বলতেন পাকা কালো জাম আনতে, কেননা পাকা কালো জাম খেতে সুস্বাদু । এ অভিজ্ঞতাও তাঁর বালক জীবনের ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর প্রথম সিরিয়া যাত্রা
বালক মুহাম্মদ (সঃ)-কে দেখেন । তাঁর দৃষ্টিতে বালক মুহাম্মদ (সঃ)-এর এমন কোন বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে যাতে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, এই বালক একদিন নবীর মর্যাদা লাভ করবেন ।
আবু তালিবকে তিনি সতর্ক করেন, যাতে তিনি এই অসাধারণ বালককে আর কোথাও না নিয়ে যান, কারণ ইহুদীরা এর ক্ষতি করতে পারে । এই ভ্রমণই হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে প্রথম বহির্বিশ্বের স্বাদ আস্বাদন করায়, তিনি বিশ্বের বিরাটত্ব আপন অন্তরে অনুভব করেন । এতদিন তিনি ছিলেন অনুর্বর মক্কার মরুভূমিতে । আজ তিনি শস্য-শ্যামল বসরাতে । তিনি সামুদ গোত্রের রাজত্বভূমি বিরাট প্রান্তর ওয়াদিল কুরাও অতিক্রম করেন । তিনি দেখলেন তাঁদের ধ্বংসাবশেষ । পরবর্তীকালে পবিত্র কোরআনে যার বর্ণনাও আছে । হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর বয়স যদিও তখন ১২ বছর, কিন্তু তাঁর পর্যবেক্ষণ শক্তির প্রসারতা ও গভীরতা আকাশের মতো বড় ও সমুদ্রের মতো বিশাল হয়ে উঠেছিল । এবারের বাণিজ্য যাত্রায় আবু তালিব আশাতীত লাভবান হয়েছিলেন । এই বাণিজ্যযাত্রা এত সুখকর ছিল যে, সারা জীবন তিনি তা ভোলেননি ।






0 coment�rios:
Post a Comment