মুমিন বন্ধুরা,
আজ আমরা আল্লাহ কে ভুলে গেছি, কুরআন কে ভুলে গেছি, সেই কিয়ামতের দিন কে ভুলে গেছি, একবারও কি ভেবে দেখেছি ? কি হবে সেদিন আমাদের?
কিভাবে সেদিন সেই কঠিন পরিক্ষার সম্মুখীন হব? কিভাবে আমরা ভুলে যেতে পারি সেই ভয়াবহ শাস্তির কথা? যাহা আল্লাহ বলেছেন? কে আমাদের সেদিন রক্ষ্যা কবে? আজ আমরা ছিনেমা, নাটক, গান বাজনা নিয়ে ব্যাস্ত, এই ছিনেমা কি আমাদের সেদিন সেই কঠিন আজাবের হাত থেকে রক্ষ্যা করতে পারবে?
Friday, December 14, 2018
হাশরের ময়দানে যে সাত শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আরশের ছায়াপ্রাপ্ত হবে।
Saturday, December 1, 2018
কুরআনকে সত্য বলে স্বীকার করেছে বিজ্ঞানীরা! আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও ইসলাম
রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম’। (মুসলিম শরীফ- ১৬৫৫) বিজ্ঞান বলে, স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ যার রাসায়ণিক বিকিরণ শরীরের চামড়ার সঙ্গে মিশে রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং তার পরিমাণ যদি ২.৩ মাত্রা হয় তাহলে মানুষ তার স্মৃতিশক্তি নাকি হারিয়ে ফেলতে পারে।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে এবং ডান কাত হয়ে ঘুমানো উত্তম’। (সহীহ বোখারী-৩২৮০)
বিজ্ঞান বলে, ডান কাঁত হয়ে ঘুমালে হৃদপি- তার প্রয়োজন মতো ভালোভাবে পাম্প করতে পারে। আর ঘুমানোর সময় আলো না নিভিয়ে ঘুমালে মস্তিষ্কের এনাটমি রস শরীরে প্রবেশ করতে পারে না বিধায়, শরীরে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, ‘পুরুষের প্যান্ট বা অন্য কোন পোশাক পায়ের টাকনুর উপর পড়তে হবে, নইলে তারা জাহান্নামী হবে।’ (সহীহ্ বোখারী- ৫৩৭১) বিজ্ঞান বলে, পুরুষের টাকনুর গিরার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে হরমন থাকে এবং আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। তাই কেউ যদি খোলা না রেখে ঢেকে রাখে, তাহলে তার মর্দ্দামিশক্তি কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
‘নেশাগ্রস্ত হওয়া শয়তানের কাজ’ (সুরা : মাইদা, আয়াত-৯০) এবং রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা হারাম’। (সহীহ বোখারী- ৬১২৪) বিজ্ঞান বলে, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রংকাইটিস ও হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে। ধূম পানে ঠোঁট কালো হয়, দাঁতের মাড়ি ও আঙুল কালো হয়। মর্দ্দামীশক্তি ও ক্ষুধা কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘পুরুষের মুখের গোফ ছেটে ফেল এবং দাড়ি রাখো’। (সহীহ মুসলিম-৪৯৩-৯৪)
বিজ্ঞান বলে, দাড়ি না রাখলে শেভের কারণে চামড়ায় ক্যান্সার, ফুসফুসের ইনফেকশন এবং ৪০ বছরের আগেই যৌবন হারানোর মতো মারাত্মক আশঙ্কা থাকে।
এমন আরো অনেক হাদিস বা কোরআন এর আয়াত রয়েছে যা আজকের আধুনিক বিজ্জান সত্য ও শঠিক বলে শিকার করেছেন, এবং এর মাধ্যমে পরিস্কার ভাবে প্রমান হয় একটিই সত্য ধর্ম তা হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে মাফ করুক এবং তার হুকুম আহকাম মেনে চলার তৌফিক দান করুন, আমিন।
Tuesday, November 13, 2018
স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা কবিরা গুনাহ?
কবিরা গুনাহ বলতে সেই সকল পাপকর্ম সমূহকে বুঝায় যে সকল পাপকাজ থাকে আমাদের বেচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাদীসে কাবায়েরে কবিরা গুনাহ সম্পর্কিত হাদীসে ৭ টি কবিরা গুনাহ সমপর্কে বলা হয়েছে, অনেকেই এই হাদিস টি ভুল বুঝে কবিরা গুনাহ শুধু মাত্র ৭ টি এই ধারনায় বিশ্বাস করেন। তবে এই হাদিস টি'তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু মাত্র সাতটি ধ্বংসাত্মক কবিরা গুনাহের বর্ণনা দিয়েছেন মাত্র। এ ছারাও আরো অনেক কবিরা গুনাহ রয়েছেন যে গুল থেকে আমাদের বেচে চলা জরুরী।
এ ব্যাপারে পবিত্র কোরান শরিফে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
إِن تَجْتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلاً كَرِيمًا
অর্থঃ যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করার।
বর্ণীত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা অঙ্গিকার করেছেন যারা কবিরা গুনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখতে পারবে তাদের ছোট গুনাহ গুলো আল্লাহ ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং তাদেরকে জান্নাত দিবেন।
অতএব, আমারা সকলেই এই সকল বড় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবো- ইনশাআল্লাহ
কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর পরিণাম খবই ভয়াবহ, এ সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুল (সঃ) ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দিয়ে থাকেন। কবিরা গুনাহ কারি সম্পর্কে বলা হয়েছে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়, এমন কি কবিরা গুনাহ কারীকে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উলামায়ে কিরামগন কবীরা গুনাহকে চিহ্নিত করেছেন নিন্মরুপেঃ-
১. আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক করা
২. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ও পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
৩. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
৪. নামায পরিত্যাগ করা
৫. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
৬. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন করা
৭. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
৮. যাদু-টোনা করা
৯. অহংকার করা
১০. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
১১. ফরয রোযা না রাখা
১২. হজ্জ আদায়ের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও না করা
১৩. যাকাত আদায় না করা
১৪. ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে চুগলখোরি করা
১৫. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
১৬. মিথ্যা কথা বলা
১৭. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
১৮. একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো
১৯. উপকার করে খোটা দান করা
২০. আত্মহত্যা করা
২১. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
২২. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
২৩. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
২৪. সাহাবীদের গালি দেয়া
২৫. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
২৬. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
২৭. বিশ্বাস ঘাতকতা করা
২৮. তকদীর অস্বীকার করা
২৯. জুলুম-অত্যাচার করা
৩০. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
৩১. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
৩২. হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
৩৩. খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য
৩৪. রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
৩৫. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
৩৬. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
৩৭. জুয়া খেলা
৩৮. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
৩৯. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
৪০. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
৪১. মিথ্যা কসম খাওয়া
৪২. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
৪৩. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
৪৪. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
৪৫. মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
৪৬. মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
৪৭. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
৪৮. পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
৪৯. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
৫০. গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
৫১. ঋণ পরিশোধ না করা
৫২. ডাকাতি করা
৫৩. চুরি করা
৫৪. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
৫৫. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
৫৬. অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
৫৭. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
৫৮. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
৫৯. আমানতের খিয়ানত করা
৬০. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
৬১. যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট স্বামীর অবাধ্য হওয়া
৬২. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
৬৩. বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
৬৪. আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
৬৫. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
৬৬. দাঁত চিকন করা
৬৭. অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
৬৮. অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
৬৯. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
৭০. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
৭১. পরীক্ষায় নকল করা
৭২. তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
৭৩. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
৭৪. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
৭৫. নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
৭৬. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
৭৭. সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
৭৮. প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
৭৯. অঙ্গীকার পূরণ না করা
৮০. পরের জমি জবর দখল করা
৮১. বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
৮২. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
৮৩. গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ আত্মসাৎ করা
৮৪. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
৮৫. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
৮৬. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
৮৭. ঘুষ লেন-দেন করা
৮৮. ওজনে কম দেয়া
৮৯. লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
৯০. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
৯১. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
৯২. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
৯৩. পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
৯৪. ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
৯৫. ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
এছাড়াও আরো অনেক কবিরা গুনাহ রয়েছে, তাই আমাদের উচিৎ সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, এবং ইসলামের সকাল বিঁধান মেনে চলা, আল্লাহ আমাদের সকল কে কবিরা গুনাহ থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুক, আমিন।
Monday, November 12, 2018
স্বামী মারা যাবার পর দ্বিতীয় বিবাহ করার অধিকার স্ত্রীর আছে ?
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
অর্থঃ আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে। (সূরা বাকারা ২৩৪)
সুতরাং, ইসলামে স্বামী মারা যাবার পর স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহ করার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে।
ইসলামি হুকম আহকাম মেনে যে কোন বিধবা নারী দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবে, কিন্তু অবশ্যই তাকে ইদ্দত কাল পূর্ণ করতে হবে।
Tuesday, November 6, 2018
সুন্নাতের গুরুত্ব ও ফজিলত
আজ আমরা মহানবীর সুন্নাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব।
উলামায়ে কেরাম বলেন, ফরজ ও ওয়াজীব হচ্ছে আল্লাহর হক্ক, সুন্নত হচ্ছে নবীর হক্ব, নফল হচ্ছে নিজস্ব হক্ব। ফরজ ও ওয়াজীবের মর্তবা বা ফজীলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তবুও সুন্নতের মর্তবা থুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ফরজের শক্তি ও ফজীলতকে বৃদ্ধি ও মজবুত করে।
সুন্নত সম্পর্কে নবীজী বলেন “আমার উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের যামানায় যে আমার একটি সুন্নতকে জিন্দা করল সে ১০০ শহীদের সওয়াব লাভ করবে।” নবীজী আরো বলেন, “যে আমার একটি সুন্নতকে জিন্দা করলে সে আমাকে ভালবাসলো। আর যে আমাকে ভালোবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে।”
যখন আমাদের ক্ষুধা লাগে তখন আমরা খাবার খাই কিন্তু সুন্নত হলো পেট ভর্তি করে না খাওয়া। এতে পেটের হজমের জন্য সহজ। যদি আমরা সুন্নত নিয়ম না মেনে চলি তাহলে পেট খারাপসহ নানান প্রকার অসুবিধা হতে পারে।
এছাড়াও আরো কিছু সুন্নত রয়েছে যেমন- সকলের সাথে পরামর্শ করে কাজ করা। এতে পারস্পারিক ভালোবাসা বহাল থাকে। খাবার বসে খাওয়া, ঢিলা কুলূখ ব্যবহার করা, শোবার পূর্বে বিছানা ৩ বার ঝাড়া, জুতা নেড়েচেড়ে পরা , চোঁখে সুরমা ব্যবহার করা, পুরুষদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি কাজ নবীজীর সুন্নত তো বটেই এ সমস্ত বিষয়ে দুনিয়াবী অনেক উপকারও রয়েছে যা একটু চিন্তা করলেই বুঝে আসবে।
আমাদের জীবনের প্রতিটি দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সুন্নতের সংখ্যা অপরীসীম । তারপরও দেখা যায়, সুন্নত মেনে চলার মাধ্যমে হারাম কার্যাবলী থেকেও হেফাজতে থাকা যায়। যেমন- নজর বা দৃষ্টিকে হেফাজত করলে হারাম দৃশ্যাবলী থেকে চোখের হেফাজত হয়। পাশাপাশি পাগড়ী পড়ার দ্বারা পথে দূর্ঘটনার শিকার হলে মাথা হেফাজত থাকে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সাহাবাগণ মেসওয়াকের সুন্নত পালন করার কারণে তারা বিনা যুদ্ধে জয় লাভ করেন। কাফেররা এ ভয়ে ময়দান ছেড়ে পলায়ন করেছিল। কাফেররা এ দৃশ্য দেখে ভেবেছিল, মুসলমানরা এটি আবার কোনো রণকৌশল অবলম্বন করছে যে, তারা গাছের ডাল দ্বারা দাঁতকে ধার করছে।
ঠিক এমনিভাবে মানুষের জন্য আল্লাহ একটি দিক সীমাবদ্ধ রেখেছেন, তা হলো শরীয়ত। আর এই শরীয়তের এক একটি হুকুম আমাদের সঠিকভাবে আদায় করতে হবে।
সুন্নত তরীকায় চলার দ্বারা উম্মতের শুধুমাত্র যে পারলৌকিক কল্যাণই সাধিত হয় তা নয়, বরং পার্থিব সুখ শান্তি এবং নিরাপত্তাও হাসিল হয়ে থাকে।
সুতরাং আমরা সুন্নতকে মেনে সে অনুযায়ী জীবনকে গড়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবি হাসিল করবো । আর আমরা যখন চেষ্টা করবো আল্লাহ পাক আমাদের জন্য তা কর্মে পরিণত করার পথ সহজ করে দিন।
সুন্নত সম্পর্কে নবীজী বলেন “আমার উম্মতের ফেতনা-ফাসাদের যামানায় যে আমার একটি সুন্নতকে জিন্দা করল সে ১০০ শহীদের সওয়াব লাভ করবে।” নবীজী আরো বলেন, “যে আমার একটি সুন্নতকে জিন্দা করলে সে আমাকে ভালবাসলো। আর যে আমাকে ভালোবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে।”
যখন আমাদের ক্ষুধা লাগে তখন আমরা খাবার খাই কিন্তু সুন্নত হলো পেট ভর্তি করে না খাওয়া। এতে পেটের হজমের জন্য সহজ। যদি আমরা সুন্নত নিয়ম না মেনে চলি তাহলে পেট খারাপসহ নানান প্রকার অসুবিধা হতে পারে।
এছাড়াও আরো কিছু সুন্নত রয়েছে যেমন- সকলের সাথে পরামর্শ করে কাজ করা। এতে পারস্পারিক ভালোবাসা বহাল থাকে। খাবার বসে খাওয়া, ঢিলা কুলূখ ব্যবহার করা, শোবার পূর্বে বিছানা ৩ বার ঝাড়া, জুতা নেড়েচেড়ে পরা , চোঁখে সুরমা ব্যবহার করা, পুরুষদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি কাজ নবীজীর সুন্নত তো বটেই এ সমস্ত বিষয়ে দুনিয়াবী অনেক উপকারও রয়েছে যা একটু চিন্তা করলেই বুঝে আসবে।
আমাদের জীবনের প্রতিটি দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সুন্নতের সংখ্যা অপরীসীম । তারপরও দেখা যায়, সুন্নত মেনে চলার মাধ্যমে হারাম কার্যাবলী থেকেও হেফাজতে থাকা যায়। যেমন- নজর বা দৃষ্টিকে হেফাজত করলে হারাম দৃশ্যাবলী থেকে চোখের হেফাজত হয়। পাশাপাশি পাগড়ী পড়ার দ্বারা পথে দূর্ঘটনার শিকার হলে মাথা হেফাজত থাকে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সাহাবাগণ মেসওয়াকের সুন্নত পালন করার কারণে তারা বিনা যুদ্ধে জয় লাভ করেন। কাফেররা এ ভয়ে ময়দান ছেড়ে পলায়ন করেছিল। কাফেররা এ দৃশ্য দেখে ভেবেছিল, মুসলমানরা এটি আবার কোনো রণকৌশল অবলম্বন করছে যে, তারা গাছের ডাল দ্বারা দাঁতকে ধার করছে।
ঠিক এমনিভাবে মানুষের জন্য আল্লাহ একটি দিক সীমাবদ্ধ রেখেছেন, তা হলো শরীয়ত। আর এই শরীয়তের এক একটি হুকুম আমাদের সঠিকভাবে আদায় করতে হবে।
সুন্নত তরীকায় চলার দ্বারা উম্মতের শুধুমাত্র যে পারলৌকিক কল্যাণই সাধিত হয় তা নয়, বরং পার্থিব সুখ শান্তি এবং নিরাপত্তাও হাসিল হয়ে থাকে।
সুতরাং আমরা সুন্নতকে মেনে সে অনুযায়ী জীবনকে গড়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবি হাসিল করবো । আর আমরা যখন চেষ্টা করবো আল্লাহ পাক আমাদের জন্য তা কর্মে পরিণত করার পথ সহজ করে দিন।
Monday, November 5, 2018
হযরত মুসা আ:’র জামানার চমৎকার একটি ঘটনা
জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে?
জবাবে বলা হলো,ওমুক কসাই !
জবাবে কসাইয়ের নাম শুনে মুসা আ:
খুবই আশ্চর্য হলেন।
অনেক খোঁজ করার
পর মুসা আ: তাকে বের করলেন।
দেখলেন, কসাই গোস্ত বিক্রিতে ব্যস্ত!
সবশেষে কসাই একটুকরো গোস্ত একটি
কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন।
অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন।
মুসা আ: তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্যে অনুমতি নিয়ে পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন।
কসাই বাড়ি পৌঁছে গোস্ত রান্না করলেন।
অতপর রুটি বানিয়ে তা গোস্তের ঝোলে
মেখে নরম করলেন।
তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ
করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন । তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে
দিতে লাগলেন।
খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন।
দূর থেকে মুসা আ: সব-ই দেখছিলেন।
কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না।
মুসা আ: বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার
বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন।
কসাই বললেন, ওনি আমার মা!
আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম
আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই।
আর, মা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার
কানের কাছে এসে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে
এই বলে দোআ করেন, “আল্লাহ্ তায়ালা
তোমাকে বেহেস্ত দান করুক এবং মুসা আ:
এর সাথে রাখুক”!
আমি এই দোআ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি
যে, কোথায় মুসা আ: আর কোথায় আমি।
সুন্দর একটি হাদিস
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি আমাদের নিকট আত্মপ্রকাশ করলেন। ধবধবে সাদা তাঁর পোশাক। চুল তাঁর কুচকুচে কালো।
না ছিল তাঁর মধ্যে সফর করে আসার কোন চিহ্ন, আর না আমাদের কেউ তাকে চিনতে পেরেছেন। তিনি এসেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে পড়লেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাঁটুর সাথে তাঁর হাঁটু মিলিয়ে দিলেন। তাঁর দু’হাত তাঁর দুই উরুর উপর রেখে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলুন, অর্থাৎ- ইসলাম কি? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘ইসলাম হচ্ছে- তুমি সাক্ষ্য দিবে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত আর কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসূল, সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমাযান মাসের সিয়াম পালন করবে এবং বায়তুল্লাহর হাজ্জ (হজ/হজ্জ) করবে যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে।’’ আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন।’’ আমরা আশ্চর্যান্বিত হলাম একদিকে তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (অজ্ঞের ন্যায়) প্রশ্ন করলেন, আবার অপরদিকে রসূলের বক্তব্যকে (বিজ্ঞের ন্যায়) সঠিক বলে সমর্থনও করলেন।
এরপর তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘আমাকে ঈমান সম্পর্কে কিছু বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, ঈমান হচ্ছেঃ আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ), তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রসূলগণ এবং পরকালকে সত্য বলে বিশ্বাস করা। এছাড়া তাক্বদীরের উপর, অর্থাৎ- জীবন ও জগতে কল্যাণ-অকল্যাণ যা কিছু ঘটছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হচ্ছে- এ কথার উপর বিশ্বাস করা। উত্তর শুনে আগন্তুক বললেন, ‘‘আপনি ঠিকই বলেছেন’’।
অতঃপর তিনি আবার বললেন, ‘‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ইহসান হচ্ছে, ‘‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর তুমি যদি তাকে না-ও দেখো, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন’’।
আগন্তুক এবার বললেন, ‘‘আমাকে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সম্পর্কে বলুন।’’ উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘এ বিষয়ে যাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে তিনি প্রশ্নকারীর চাইতে অধিক কিছু জানেন না।’’ আগন্তুক বললেন, ‘‘তবে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) নিদর্শন হলো, দাসী তাঁর আপন মুনীবকে প্রসব করবে, তুমি আরো দেখতে পাবে- নগ্নপায়ী বিবস্ত্র হতদরিদ্র মেষ চালকেরা বড় বড় দালান-কোঠা নিয়ে গর্ব ও অহংকার করবে।’’ ‘উমার (রাঃ) বললেন, অতঃপর আগন্তুক চলে গেলে আমি কিছুক্ষণ সেখানেই অবস্থান করলাম। পরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, হে ‘উমার! প্রশ্নকারী আগন্তুককে চিনতে পেরেছো?’’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, ‘‘ইনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ)। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের দীন শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন’’। (মুসলিম)
এরপর তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘আমাকে ঈমান সম্পর্কে কিছু বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, ঈমান হচ্ছেঃ আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ), তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রসূলগণ এবং পরকালকে সত্য বলে বিশ্বাস করা। এছাড়া তাক্বদীরের উপর, অর্থাৎ- জীবন ও জগতে কল্যাণ-অকল্যাণ যা কিছু ঘটছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হচ্ছে- এ কথার উপর বিশ্বাস করা। উত্তর শুনে আগন্তুক বললেন, ‘‘আপনি ঠিকই বলেছেন’’।
অতঃপর তিনি আবার বললেন, ‘‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ইহসান হচ্ছে, ‘‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদাত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর তুমি যদি তাকে না-ও দেখো, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন’’।
আগন্তুক এবার বললেন, ‘‘আমাকে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সম্পর্কে বলুন।’’ উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘এ বিষয়ে যাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে তিনি প্রশ্নকারীর চাইতে অধিক কিছু জানেন না।’’ আগন্তুক বললেন, ‘‘তবে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বলুন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) নিদর্শন হলো, দাসী তাঁর আপন মুনীবকে প্রসব করবে, তুমি আরো দেখতে পাবে- নগ্নপায়ী বিবস্ত্র হতদরিদ্র মেষ চালকেরা বড় বড় দালান-কোঠা নিয়ে গর্ব ও অহংকার করবে।’’ ‘উমার (রাঃ) বললেন, অতঃপর আগন্তুক চলে গেলে আমি কিছুক্ষণ সেখানেই অবস্থান করলাম। পরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, হে ‘উমার! প্রশ্নকারী আগন্তুককে চিনতে পেরেছো?’’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, ‘‘ইনি হচ্ছেন জিবরীল (আঃ)। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের দীন শিক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন’’। (মুসলিম)
ক্ষমা ও দয়া লাভের দোয়া
উচ্চারণ- রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা ফাইরুর রাহিমিন।
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি রহম কর। তুমিতো সর্বশেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
সুতরাং আল্লাহ তাআলা উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূরা আল ফাতিহা
1) শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
2) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
3) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
4) যিনি বিচার দিনের মালিক।
5) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
6) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
7) সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
Sunday, November 4, 2018
কিয়ামত এর যে আলামত গুলো ইতি মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
কেয়ামতের পূর্বে কেয়ামতের যে আলামতগুলো প্রকাশ পাবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হল।
এর মধ্যে কিছু আলামত ইতি মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে, এবং অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু আলামত এখনো প্রকাশ পায়নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদ অনুযায়ী বাকি আলামত গুলো অচিরেই প্রকাশ পাবে।
#এ বিষয়ে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন- وَلِلّهِ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا أَمْرُ السَّاعَةِ إِلاَّ كَلَمْحِ الْبَصَرِ أَوْ هُوَ أَقْرَبُ إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থঃ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান।
১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভ।
কেয়ামতের পূর্বে কেয়ামতের যে আলামতগুলো প্রকাশ পাবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হল।
এর মধ্যে কিছু আলামত ইতি মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে, এবং অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। আর কিছু আলামত এখনো প্রকাশ পায়নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদ অনুযায়ী বাকি আলামত গুলো অচিরেই প্রকাশ পাবে।
#এ বিষয়ে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন- وَلِلّهِ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا أَمْرُ السَّاعَةِ إِلاَّ كَلَمْحِ الْبَصَرِ أَوْ هُوَ أَقْرَبُ إِنَّ اللّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থঃ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহর কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান।
★কেয়ামতের আলামতের মধ্যে রয়েছে-
১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত লাভ।
কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আগমণ। কেননা তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবীর আগমণ হবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর দুনিয়াতে আগমণের অর্থ হলো, দুনিয়ার বয়স শেষ হয়ে আসছে, কিয়ামত অতি নিকটবর্তী হয়ে গেছে।
২.চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ اقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে’’। (সূরা কামারঃ ১)
আলেমদের সর্বসম্মত অভিমত হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যামানায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ মক্কাবাসীরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে নবুওয়াতের প্রমাণ চাইল তখন তিনি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন’’। - মুসলিম, অধ্যায়ঃ সিফাতুল মুনাফিকীন।
৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু।
৪. ভন্ড ও মিথ্যুক নবীদের আগমণ হবে (নবুয়তের মিথ্যা দাবিদারদের আত্মপ্রকাশ)।
২.চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ اقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে’’। (সূরা কামারঃ ১)
আলেমদের সর্বসম্মত অভিমত হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যামানায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ মক্কাবাসীরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে নবুওয়াতের প্রমাণ চাইল তখন তিনি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন’’। - মুসলিম, অধ্যায়ঃ সিফাতুল মুনাফিকীন।
৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু।
-এটিও সংঘটিত হয়েছে।
৪. ভন্ড ও মিথ্যুক নবীদের আগমণ হবে (নবুয়তের মিথ্যা দাবিদারদের আত্মপ্রকাশ)।
যেমন- মুসাইলামাতুল কাযযাব ও আসওয়াদ আনসি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
‘‘আমার উম্মাতের বহু সংখ্যক লোক মুশরেকদের সাথে মিলিত না হওয়া এবং মূর্তিপূজায় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা’’। - তিরমিজী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান, ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৭২৯৫। মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়িত হয়েছে। এই উম্মতের বহু সংখ্যক মানুষের অবস্থা এরূপ হয়েছে যে, কোন কোন মাজারে দাফনকৃত অলীর জন্য সিজদা পর্যন্ত করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে জীবিত পীরের সামনেও মাথানত করে সিজদা করা হচ্ছে, যা প্রকাশ্য শির্কের অন্তর্ভূক্ত। কুরআন ও হাদীছের শিক্ষা ভুলে গিয়ে মুসলিম জাতির অসংখ্য লোক এমনি আরো অগণিত শির্ক করছে যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
৭. গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
আখেরী যামানার লোকেরা গান-বাজনা হালাল মনে করে ব্যাপকভাবে তাতে আসক্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে এই আলামতটি দেখা দিয়েছে। মুসলমানদের ঘরে ঘরে টিভি, ডিস এন্টিনা, ইন্টারনেটসহ নানা ধরণের প্রযুক্তি ঢুকে পড়েছে। ২৪ঘন্টা এগুলোতে গান-বাজনা, উলঙ্গ, অর্ধালঙ্গ নারী পুরুষের ফাহেশা ছবি এবং ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলো মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকীদা ও চরিত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। যারা একাজে মত্ত হবে তাদেরকে তিন ধরণের শাস্তি দেয়া হবে। নবী সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আখেরী যামানায় কোন কোন জাতিকে মাটির নিচে দাবিয়ে দেয়া হবে, কোন জাতিকে উপরে উঠিয়ে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হবে। আবার কারো চেহারা পরিবর্তন করে শুকর ও বানরে পরিণত করা হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো কখন এরূপ করা হবে?
তিনি বললেনঃ ‘‘যখন গান-বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে’’। - ইবনে মাজাহ। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর হাদীছ নং- ২১৬ এই পাপে লিপ্ত হওয়ার কারণে অতীতের কোন কোন জাতিকে এভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমানেও আমরা প্রায়ই ভূমি ধসে ব্যাপক ধ্বংসের খবর প্রচার মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। তবে চেহারা পরিবর্তনের ঘটনা সম্ভবত এখনও ঘটেনি। আমরা মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা কিয়ামতের আগে অবশ্যই ঘটবে। দ্বীন-ধর্ম ছেড়ে দিয়ে যে সমস্ত মুসলমান গান-বাজনা ও গায়ক-গায়িকা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তাদের উপরে চেহারা বিকৃত করার শাস্তি অবশ্যই আসবে।
৮. বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে (কাপড় পরিহিতা সত্ত্বেও উলঙ্গ এমন নারীদের বহিঃপ্রকাশ ঘটা)।
কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মহিলারা ইসলামী পোষাক পরিত্যাগ করে এমন পোষাক পরিধান করবে যাতে তাদের সতর ঢাকবেনা। তারা মাথার চুল ও সৌন্দর্য্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে ঘর থেকে বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে’’। - ইমাম হায়ছামী বলেনঃ ইমাম বুখারী এই হাদীছের বর্ণনাকারীদের থেকে হাদীছ গ্রহণ করেছেন, মাজমাউজ্ জাওয়ায়েদ, (৭/৩২৭)।
অর্থাৎ তাদের পোষাকগুলো এমন সংকীর্ণ ও আঁট-সাট হবে যে, তা পরিধান করলেও শরীরের গঠন ও সৌন্দর্যের স্থানগুলো বাহির থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যাবে। এই হাদীছটিতে নবুওয়াতের সুস্পষ্ট মু'জেযা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে যা বলেছেন তা আজ হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে।
৯. যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ وَيَثْبُتَ الْجَهْلُ وَيُشْرَبَ الْخَمْرُ وَيَظْهَرَ الزِّنَا
‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইল্ম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে, মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে এবং মুসলমানেরা ব্যভিচারে লিপ্ত হবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম।
তিনি আরো বলেনঃ আমার উম্মতের একটি দল যেনাকে হালাল মনে করবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবা। আখেরী যামানায় ভাল লোকগণ চলে যাওয়ার পর শুধুমাত্র দুষ্ট লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের সামনে গাধার ন্যায় ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। তাদের উপরে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে। - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এ হাদীছে নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ রয়েছে। কারণ তাঁর ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের যামানায় প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হচ্ছে। কিয়ামতের এই আলামতটি বর্তমান মুসলিম সমাজেও ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে, যা বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। বড় পরিতাপের বিষয় এইযে, অনেক ইসলামী দেশে সরকারীভাবে ব্যভিচারের লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। এ সমস্ত মুসলিম দেশের শাসকরা রোজ কিয়ামতে আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবেন!!
১০. সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের মাঝে সুদ গ্রহণ করা এবং সুদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন সম্পদ কামাই করার ব্যাপারে হালাল-হারামের বিবেচনা করা হবেনা’’। - তাবারানী, ইমাম মুনযেরী বলেনঃ হাদীছের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত, আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব, (৩/৯)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَظْهَرَ الرِّبَا
‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের আলামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে সুদের প্রসার লাভ করবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল বুয়ূ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। অগণিত সংখ্যক মুসলমান আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অমান্য করে সুদের ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে এমন কোন ইসলামী দেশ পাওয়া যাবেনা যেখানে সুদী ব্যাংক নেই বা সুদের ব্যবসা নেই।
১১.মদ্যপান হালাল মনে করবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُشْرَبَ الخَمْرُ
‘‘নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের মধ্য থেকে একটি আলামত হচ্ছে মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম। মুসলমানদের মাঝে মদ্যপান ও মদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। কেউ বা অন্য নাম দিয়ে কেউ বা হালাল মনে করে এতে লিপ্ত হচেছ। মুসলিম দেশগুলোতে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে। মুসলমানদের চরিত্র ও আদর্শ ধ্বংস কারার জন্যে সরকারী লাইসেন্স নিয়ে এক শ্রেণীর মুসলমান মদের ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী নিশ্চিতরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে।
১২. অধিকহারে ভূমিকম্প হওয়া (ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে)।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ
‘‘ত্রিশজন মিথ্যুক আগমণের পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। তারা সকলেই দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব।
৫. মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে।
কিয়ামতের পূর্বে ব্যাপকভাবে মিথ্যা কথা বলার প্রচলন ঘটবে। এমনকি এক শ্রেণীর লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর নামে মিথ্যা হাদীছ রচনা করে মানুষের মাঝে প্রচার করবে। বাস্তবে তাই হয়েছে। ইসলাম প্রচার ও তাবলীগের নামে বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনী ও জাল হাদীছ তৈরী করে এক শ্রেণীর লোক মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আখেরী যামানায় আমার উম্মাতের কিছু লোক তোমাদের কাছে এমন কথা বর্ণনা করবে, যা তোমরাও শুননি এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনেনি। তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে। তারা যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে’’। - মুসলিম, মুকাদ্দিমা।
হাদীছের ভাষ্য সত্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানকালে মানুষের মাঝে মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বলা হয় বর্তমানে একজন সত্যবাদী খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন তাতেও অতিরঞ্জিত হবেনা বলে মনে হয়। যাচাই-বাছাই না করেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে লোকেরা মোটেও দ্বিধাবোধ করেনা। প্রচার মাধ্যমগুলো অনবরত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার কারণে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায়।
৬. মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে।
অধিকাংশ মুসলিম দেশের মাজারগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিলে সহজেই অনুধাবন করা যাবে যে, কিয়ামতের এই আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। উম্মতে মুহাম্মাদীর বিরাট একটি অংশ আইয়্যামে জাহেলীয়াতের ন্যায় শির্কে লিপ্ত হয়েছে। কবর পাকা করে, বাঁধাই করে, কবরের উপর গম্বুজ ও মসজিদ নির্মাণ করে তাতে বিভিন্ন প্রকার শির্কের চর্চা হচ্ছে। কা’বা ঘরের তাওয়াফের ন্যায় কবরের চারপার্শ্বে তাওয়াফ হচ্ছে, বরকতের আশায় কবরের দেয়াল চুম্বন করা হচ্ছে, তাতে নযর-মানত পেশ করা হচ্ছে অলী-আওলীয়ার নামে পশু যবেহ করা হচ্ছে এবং কবরের পাশে ওরছ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
‘‘ত্রিশজন মিথ্যুক আগমণের পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। তারা সকলেই দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মানাকিব।
৫. মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে।
কিয়ামতের পূর্বে ব্যাপকভাবে মিথ্যা কথা বলার প্রচলন ঘটবে। এমনকি এক শ্রেণীর লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর নামে মিথ্যা হাদীছ রচনা করে মানুষের মাঝে প্রচার করবে। বাস্তবে তাই হয়েছে। ইসলাম প্রচার ও তাবলীগের নামে বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনী ও জাল হাদীছ তৈরী করে এক শ্রেণীর লোক মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আখেরী যামানায় আমার উম্মাতের কিছু লোক তোমাদের কাছে এমন কথা বর্ণনা করবে, যা তোমরাও শুননি এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনেনি। তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে। তারা যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে’’। - মুসলিম, মুকাদ্দিমা।
হাদীছের ভাষ্য সত্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানকালে মানুষের মাঝে মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বলা হয় বর্তমানে একজন সত্যবাদী খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন তাতেও অতিরঞ্জিত হবেনা বলে মনে হয়। যাচাই-বাছাই না করেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে লোকেরা মোটেও দ্বিধাবোধ করেনা। প্রচার মাধ্যমগুলো অনবরত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার কারণে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায়।
৬. মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে।
অধিকাংশ মুসলিম দেশের মাজারগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিলে সহজেই অনুধাবন করা যাবে যে, কিয়ামতের এই আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। উম্মতে মুহাম্মাদীর বিরাট একটি অংশ আইয়্যামে জাহেলীয়াতের ন্যায় শির্কে লিপ্ত হয়েছে। কবর পাকা করে, বাঁধাই করে, কবরের উপর গম্বুজ ও মসজিদ নির্মাণ করে তাতে বিভিন্ন প্রকার শির্কের চর্চা হচ্ছে। কা’বা ঘরের তাওয়াফের ন্যায় কবরের চারপার্শ্বে তাওয়াফ হচ্ছে, বরকতের আশায় কবরের দেয়াল চুম্বন করা হচ্ছে, তাতে নযর-মানত পেশ করা হচ্ছে অলী-আওলীয়ার নামে পশু যবেহ করা হচ্ছে এবং কবরের পাশে ওরছ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَلْحَقَ قَبَائِلُ مِنْ أُمَّتِي بِالْمُشْرِكِينَ وَحَتَّى يَعْبُدُوا الْأَوْثَانَ
‘‘আমার উম্মাতের বহু সংখ্যক লোক মুশরেকদের সাথে মিলিত না হওয়া এবং মূর্তিপূজায় লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা’’। - তিরমিজী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান, ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৭২৯৫। মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়িত হয়েছে। এই উম্মতের বহু সংখ্যক মানুষের অবস্থা এরূপ হয়েছে যে, কোন কোন মাজারে দাফনকৃত অলীর জন্য সিজদা পর্যন্ত করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে জীবিত পীরের সামনেও মাথানত করে সিজদা করা হচ্ছে, যা প্রকাশ্য শির্কের অন্তর্ভূক্ত। কুরআন ও হাদীছের শিক্ষা ভুলে গিয়ে মুসলিম জাতির অসংখ্য লোক এমনি আরো অগণিত শির্ক করছে যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবেনা।
৭. গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
আখেরী যামানার লোকেরা গান-বাজনা হালাল মনে করে ব্যাপকভাবে তাতে আসক্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে এই আলামতটি দেখা দিয়েছে। মুসলমানদের ঘরে ঘরে টিভি, ডিস এন্টিনা, ইন্টারনেটসহ নানা ধরণের প্রযুক্তি ঢুকে পড়েছে। ২৪ঘন্টা এগুলোতে গান-বাজনা, উলঙ্গ, অর্ধালঙ্গ নারী পুরুষের ফাহেশা ছবি এবং ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলো মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকীদা ও চরিত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। যারা একাজে মত্ত হবে তাদেরকে তিন ধরণের শাস্তি দেয়া হবে। নবী সাললাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আখেরী যামানায় কোন কোন জাতিকে মাটির নিচে দাবিয়ে দেয়া হবে, কোন জাতিকে উপরে উঠিয়ে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হবে। আবার কারো চেহারা পরিবর্তন করে শুকর ও বানরে পরিণত করা হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো কখন এরূপ করা হবে?
তিনি বললেনঃ ‘‘যখন গান-বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে’’। - ইবনে মাজাহ। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর হাদীছ নং- ২১৬ এই পাপে লিপ্ত হওয়ার কারণে অতীতের কোন কোন জাতিকে এভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমানেও আমরা প্রায়ই ভূমি ধসে ব্যাপক ধ্বংসের খবর প্রচার মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি। তবে চেহারা পরিবর্তনের ঘটনা সম্ভবত এখনও ঘটেনি। আমরা মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি, আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা কিয়ামতের আগে অবশ্যই ঘটবে। দ্বীন-ধর্ম ছেড়ে দিয়ে যে সমস্ত মুসলমান গান-বাজনা ও গায়ক-গায়িকা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তাদের উপরে চেহারা বিকৃত করার শাস্তি অবশ্যই আসবে।
৮. বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে (কাপড় পরিহিতা সত্ত্বেও উলঙ্গ এমন নারীদের বহিঃপ্রকাশ ঘটা)।
কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মহিলারা ইসলামী পোষাক পরিত্যাগ করে এমন পোষাক পরিধান করবে যাতে তাদের সতর ঢাকবেনা। তারা মাথার চুল ও সৌন্দর্য্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে ঘর থেকে বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে’’। - ইমাম হায়ছামী বলেনঃ ইমাম বুখারী এই হাদীছের বর্ণনাকারীদের থেকে হাদীছ গ্রহণ করেছেন, মাজমাউজ্ জাওয়ায়েদ, (৭/৩২৭)।
অর্থাৎ তাদের পোষাকগুলো এমন সংকীর্ণ ও আঁট-সাট হবে যে, তা পরিধান করলেও শরীরের গঠন ও সৌন্দর্যের স্থানগুলো বাহির থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যাবে। এই হাদীছটিতে নবুওয়াতের সুস্পষ্ট মু'জেযা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে যা বলেছেন তা আজ হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে।
৯. যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ وَيَثْبُتَ الْجَهْلُ وَيُشْرَبَ الْخَمْرُ وَيَظْهَرَ الزِّنَا
‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইল্ম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে, মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে এবং মুসলমানেরা ব্যভিচারে লিপ্ত হবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম।
তিনি আরো বলেনঃ আমার উম্মতের একটি দল যেনাকে হালাল মনে করবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবা। আখেরী যামানায় ভাল লোকগণ চলে যাওয়ার পর শুধুমাত্র দুষ্ট লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের সামনে গাধার ন্যায় ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। তাদের উপরে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে। - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এ হাদীছে নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ রয়েছে। কারণ তাঁর ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের যামানায় প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হচ্ছে। কিয়ামতের এই আলামতটি বর্তমান মুসলিম সমাজেও ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে, যা বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। বড় পরিতাপের বিষয় এইযে, অনেক ইসলামী দেশে সরকারীভাবে ব্যভিচারের লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। এ সমস্ত মুসলিম দেশের শাসকরা রোজ কিয়ামতে আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবেন!!
১০. সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের মাঝে সুদ গ্রহণ করা এবং সুদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন সম্পদ কামাই করার ব্যাপারে হালাল-হারামের বিবেচনা করা হবেনা’’। - তাবারানী, ইমাম মুনযেরী বলেনঃ হাদীছের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত, আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব, (৩/৯)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَظْهَرَ الرِّبَا
‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের আলামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে সুদের প্রসার লাভ করবে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল বুয়ূ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। অগণিত সংখ্যক মুসলমান আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অমান্য করে সুদের ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে এমন কোন ইসলামী দেশ পাওয়া যাবেনা যেখানে সুদী ব্যাংক নেই বা সুদের ব্যবসা নেই।
১১.মদ্যপান হালাল মনে করবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُشْرَبَ الخَمْرُ
‘‘নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের মধ্য থেকে একটি আলামত হচ্ছে মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম। মুসলমানদের মাঝে মদ্যপান ও মদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। কেউ বা অন্য নাম দিয়ে কেউ বা হালাল মনে করে এতে লিপ্ত হচেছ। মুসলিম দেশগুলোতে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে। মুসলমানদের চরিত্র ও আদর্শ ধ্বংস কারার জন্যে সরকারী লাইসেন্স নিয়ে এক শ্রেণীর মুসলমান মদের ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। মোটকথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী নিশ্চিতরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে।
১২. অধিকহারে ভূমিকম্প হওয়া (ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে)।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُوْم السَّاعَةُ حَتَّى َتَكْثُرَ الزَّلَازِلُ
‘‘বেশী বেশী ভূমিকম্প না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেক দেশেই বহু ভূমিকম্পের আবির্ভাব হয়েছে। বর্তমানে আমরা প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের খবর শুনতে পাই। হতে পারে এগুলোই কিয়ামতের আলামত হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে আমরা বলবোঃ এসব ভূমিকম্প কিয়ামতের আলামত হিসেবে প্রকাশিতব্য ভূমিকম্পের প্রাথমিক পর্যায় স্বরূপ। ২০০৫ ইং সালে শ্রীলংকা, ইন্দোনেশীয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়ার কয়েকটি দেশে হয়ে যাওয়া সুনামীর ঘটনা কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার একটি সুস্পষ্ট আলামত।
‘‘বেশী বেশী ভূমিকম্প না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা’’। - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেক দেশেই বহু ভূমিকম্পের আবির্ভাব হয়েছে। বর্তমানে আমরা প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের খবর শুনতে পাই। হতে পারে এগুলোই কিয়ামতের আলামত হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে আমরা বলবোঃ এসব ভূমিকম্প কিয়ামতের আলামত হিসেবে প্রকাশিতব্য ভূমিকম্পের প্রাথমিক পর্যায় স্বরূপ। ২০০৫ ইং সালে শ্রীলংকা, ইন্দোনেশীয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়ার কয়েকটি দেশে হয়ে যাওয়া সুনামীর ঘটনা কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার একটি সুস্পষ্ট আলামত।
-
১।ঘুমাতে যাওয়ার সময় দোয়া উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া-আহ'ইয়া। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরন করি,আবার তো...
-
স্বাভাবিকত বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়, হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক। কারন বিপদ বলে-কয়ে আসে না, যদিও বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গ...
-
হযরত সাদ সালামি আল্লাহরনবীর একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত গরীব সাহাবী ছিলেন। গায়ের রং ছিল খুবই কালো এবং মুখের মধ্যে ছিল বসন্তের দাগ| একদি...
-
তিরমিযী শরীফের এক হাদীসে রয়েছে, মিসওয়াকসহ যে নামায পড়া হয় তা বিনা মিসওয়াকের নামাযের চেয়ে ৭০গুণ বেশী ফজীলত রাখে। মসজিদে জামাতের সাথে ফরজ না...
-
★ জান্নাতী_রমণী জান্নাতি মহিলারা তাদের স্বামীদের সমবয়স্কা হবে। জান্নাতে প্রবেশকারী মহিলাদের আল্লাহ নতুন ভাবে সৃষ্টি করবেন আর তারা কুমারী অ...
-
হযরত আলী (রা:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর চাচাত ভাই ও জামাতা এবং চতুর্থ খলীফা হচ্ছেন হযরত আলী (রাঃ) । তার পিতা আবু তাল...
-
বাদশাহ নিজ স্বপ্নের বৃত্তান্ত শুনে আশ্বস্ত হলেন এবং ইউসুফ আ. এর জ্ঞান গরিমায় বিমুগ্ধ হয়ে আদেশ দিলেন যে, তাকে কারাগার থেকে বাইরে নিয়ে এসো। আদ...
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। কেয়ামতের পূর্বে কেয়ামতের যে আলামতগুলো প্রকাশ পাবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হল। এ...
-
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের উচিত মেসওয়াকের ব্যবহার করা, যদিও বর্তমান সমাজের বেশিরভাগ মানুষের দেখা যায় দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ ...
-
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব তার পিতা মুসাইয়্যাব (রহঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, যখন আবূ ত্বালিব মুমূর্ষু অবস্থায় উপনীত হ’লেন, রাসূল (সাঃ) তার নিকট গেলেন...