নূরানী স্কুল
ইমেইলঃ nuranischool@gmail.com
ফেসবুকঃ fb/NuraniSchoolPAGE
ইউটিউবঃ Nurani School
সম্পাদকঃ ওমর ফারুক

Header Ads

Wednesday, November 27, 2019

হযরত মুসা (আঃ) একদিন স্রষ্টার কাছে জিজ্ঞাসা করলেনঃ

হযরত মুসা (আঃ) একদিন স্রষ্টার কাছে জিজ্ঞাসা করলেনঃ "হে প্রভু! আমার অনুসারীদের মধ্যে কে
সবচেয়ে বড় পাপি?"



স্রষ্টার উত্তরঃ "যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে, সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার অনুসারীদের মধ্যে বড় পাপি" স্রষ্টার কথানুযায়ী হযরত মুসা (আঃ) বসে দেখছেন, কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যাক্তি ছোট একটি ছেলেকে কোলে করে পথ অতিক্রম করছে।

মুসা(আঃ) বুঝে ফেললেন এই সেই বড় পাপি মুসা(আঃ) স্রষ্টাকে বললেনঃ "প্রভু, এখন আমাকে সবচেয়ে নেকী মানুষটিকে দেখান।"

স্রষ্টার উত্তরঃ "সূর্য্য ডুবার সাথে সাথে যে লোকটি তোমার পূর্বস্থান দিয়ে চলে যাবে সেই হইলো সবচেয়ে নেকী"

মুসা(আঃ) সূর্য ডুবার বেশ আগের থেকে বসে রইলেন যেই সূর্য্য ডুবছিলো দেখলেন সে সকালের ব্যাক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে করে ফিরে যাচ্ছে। মুসা(আঃ) হতভম্ব হয়ে স্রস্টাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
"প্রভু একই ব্যক্তি মহা পাপি আবার মহা নেকী" .

স্রষ্টা বললেনঃ "হে- মুসা! সকালে যখন এই ব্যাক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকে অতিক্রম করে জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন কোলের ছেলেটি বাবাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড়?
বাবা উত্তরে বলেছিলো,অনেক বড়। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকে কি বড় কোনো কিছু আছে? তখন বাবা বলেছিলো, হ্যাঁ বাবা! ঐ পাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড় কিছু আছে? বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কি বড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো, হ্যাঁ, আমার পাপ এই আকাশ থেকেও বড়।
ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো, বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই? তখন বাবাটি চিৎকার দিয়ে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো আমার পাপ থেকেও অনেক অনেক বড় আমাদের স্রস্টার রহমত হে-মুসা! এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে সবচেয়ে পাপি ব্যক্তিকে সবচেয়ে' নেকী ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি। মনে রাখবা আমার শাস্তির হাত থেকে ক্ষমার হাত বহুগুন বড়।

হে প্রভু আপনি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে সামনের দিনগুলোতে সত্যপথে চলার তৌফিক দান করুন... আমিন

আল্লাহর ৯৯ টি নাম অর্থ ও ফজিলত

আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম আছে, তোমরা তাকে সেসব নামে ডাকবে। [সুরা আ'রাফ ১৮০]
রাসুলুল্লাহ (সা:)বলেছেন, নিশ্চই আল্লাহর নিরানব্বইটি (এমন বিশেষ) নাম আছে,...


এছাড়াও ঈমান তথা সৃষ্টিকর্তার একাত্ববাদে বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক হলো তার গুনবাচক নাম ও বৈশিষ্টের বিষয়ে একত্বের স্বিকৃতি দেওয়া। সুতরাং আল্লাহর গুনবাচক নামসমুহ ও তার অর্থ জানা একজন ঈমানদারের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আজকাল আমরা অনেক মুসলিম অতি আধুনিকতা বা অজ্ঞতাবশত: আল্লাহকে গড বা খোদা নামে সম্বোধন করে থাকি, যা অনুচিত।
তাই নিন্মে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামের তালিকা দেওয়া হলো।


১. ﺍﻟـﻠـﻪ আল্লাহ
২. ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ আর-রহ়মান সবচাইতে দয়ালু,কল্যাণময়, করুণাময়
৩. ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ আর-রহ়ীম সবচাইতে ক্ষমাশীল
৪. ﺍﻟْﻤَﻠِﻚُ আল-মালিক অধিপতি
৫. ﺍﻟْﻘُﺪُّﻭﺱُ আল-ক্বুদ্দূস পূতঃপবিত্র, নিখুঁত
৬. ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ আস-সালাম শান্তি এবং নিরাপত্তার উৎস, ত্রাণকর্তা
৭. ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻦُ আল-মু’মিন জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী
৮. ﺍﻟْﻤُﻬَﻴْﻤِﻦُ আল-মুহাইমিন অভিভাবক,প্রতিপালক
৯. ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ আল-’আযীয সর্বশক্তিমান,সবচেয়ে সম্মানিত
১০. ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭُ আল-জাব্বার দুর্নিবার, সমুচ্চ, মহিমান্বিত
১১. ﺍﻟْﻤُﺘَﻜَﺒِّﺮُ আল-মুতাকাব্বির সর্বশ্রেষ্ঠ,গৌরবান্বিত
১২. ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻖُ আল-খলিক্ব সৃষ্টিকর্তা, (শূন্য থেকে)
১৩. ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺉُ আল-বারি’ বিবর্ধনকারী,নির্মাণকর্তা, পরিকল্পনাকারী
১৪. ﺍﻟْﻤُﺼَﻮِّﺭُ আল-মুসউয়ির আকৃতিদানকারী
১৫. ﺍﻟْﻐَﻔَّﺎﺭُ আল-গফ্ফার পুনঃপুনঃ মার্জনাকারী
১৬. ﺍﻟْﻘَﻬَّﺎﺭُ আল-ক্বহ্হার দমনকারী
১৭. ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ আল-ওয়াহ্হাব স্থাপনকারী
১৮. ﺍﻟﺮَّﺯَّﺍﻕُ আর-রযযাক্ব প্রদানকারী
১৯. ﺍﻟْﻔَﺘَّﺎﺡُ আল-ফাত্তাহ় প্রারম্ভকারী,বিজয়দানকারী
২০. ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ আল-’আলীম সর্বজ্ঞানী, সর্বদর্শী
২১. ﺍﻟْﻘَﺎﺑِﺾُ আল-ক্ববিদ় নিয়ন্ত্রণকারী, সরলপথ প্রদর্শনকারী
২২. ﺍﻟْﺒَﺎﺳِﻂُ আল-বাসিত প্রসারণকারী
২৩. ﺍﻟْﺨَﺎﻓِﺾُ আল-খ়া¯ফিদ় (অবিশ্বাসীদের) অপমানকারী
২৪. ﺍﻟﺮَّﺍﻓِﻊُ আর-রা¯ফি’ উন্নীতকারী
২৫. ﺍﻟْﻤُﻌِﺰُّ আল-মু’ইয্ব সম্মানপ্রদানকারী
২৬. ﺍﻟْﻤُﺬِﻝُّ আল-মুঝ়িল সম্মানহরণকারী
২৭. ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ আস-সামী’ সর্বশ্রোতা
২৮. ﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮُ আল-বাসী়র সর্বদ্রষ্টা
২৯. ﺍﻟْﺤَﻜَﻢُ আল-হা.কাম বিচারপতি
৩০. ﺍﻟْﻌَﺪْﻝُ আল-’আদল্ নিখুঁত
৩১. ﺍﻟﻠَّﻄِﻴﻒُ আল-লাতীফ অমায়িক
৩২. ﺍﻟْﺨَﺒِﻴﺮُ আল-খবীর সম্যক অবগত
৩৩. ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ আল-হ়ালীম ধৈর্যবান, প্রশ্রয়দাতা
৩৪. ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ আল-’আযীম সুমহান
৩৫. ﺍﻟْﻐَﻔُﻮﺭُ আল-গ’ফূর মার্জনাকারী
৩৬. ﺍﻟﺸَّﻜُﻮﺭُ আশ-শাকূর সুবিবেচক
৩৭. ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ আল-’আলিই মহীয়ান
৩৮. ﺍﻟْﻜَﺒِﻴﺮُ আল-কাবীর সুমহান
৩৯. ﺍﻟْﺤَﻔِﻴﻆُ আল-হ়াফীয সংরক্ষণকারী
৪০. ﺍﻟْﻤُﻘِﻴﺖُ আল-মুক্বীত লালনপালনকারী
৪১. ﺍﻟْﺤَﺴِﻴﺐُ আল-হ়াসীব মীমাংসাকারী
৪২. ﺍﻟْﺠَﻠِﻴﻞُ আল-জালীল গৌরবান্বিত
৪৩. ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ আল-কারীম উদার, অকৃপণ
৪৪. ﺍﻟﺮَّﻗِﻴﺐُ আর-রক্বীব সদা জাগ্রত,অতন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী
৪৫. ﺍﻟْﻤُﺠِﻴﺐُ আল-মুজীব সাড়া দানকারী,উত্তরদাতা
৪৬. ﺍﻟْﻮَﺍﺳِﻊُ আল-ওয়াসি’ অসীম, সর্বত্র বিরাজমান
৪৭. ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ আল-হ়াকীম সুবিজ্ঞ, সুদক্ষ
৪৮. ﺍﻟْﻮَﺩُﻭﺩُ আল-ওয়াদূদ স্নেহশীল
৪৯. ﺍﻟْﻤَﺠِﻴﺪُ আল-মাজীদ মহিমান্বিত
৫০. ﺍﻟْﺒَﺎﻋِﺚُ আল-বা‘ইস় পুনরুত্থানকারী
৫১. ﺍﻟﺸَّﻬِﻴﺪُ আশ-শাহীদ সাক্ষ্যদানকারী
৫২. ﺍﻟْﺤَﻖُّ আল-হাক্ক্ব প্রকৃত সত্য,
৫৩. ﺍﻟْﻮَﻛِﻴﻞُ আল-ওয়াকীল সহায় প্রদানকারী,আস্থাভাজন, উকিল
৫৪. ﺍﻟْﻘَﻮِﻱُّ আল-ক্বউই ক্ষমতাশালী
৫৫. ﺍﻟْﻤَﺘِﻴﻦُ আল মাতীন সুদৃঢ়, সুস্থির
৫৬. ﺍﻟْﻮَﻟِﻲُّ আল-ওয়ালিই বন্ধু, সাহায্যকারী,শুভাকাঙ্ক্ষী
৫৭. ﺍﻟْﺤَﻤِﻴﺪُ আল-হ়ামীদ সকল প্রশংসার দাবীদার, প্রশংসনীয়
৫৮. ﺍﻟْﻤُﺤْﺼِﻲ আল-মুহ়সী বর্ণনাকারী, গণনাকারী
৫৯. ﺍﻟْﻤُﺒْﺪِﺉُ আল-মুব্দি’ অগ্রণী, প্রথম প্রবর্তক, সৃজনকর্তা
৬০. ﺍﻟْﻤُﻌِﻴﺪُ আল-মু’ঈদ পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী,পুনরূদ্ধারকারি
৬১. ﺍﻟْﻤُﺤْﻴِﻲ আল-মুহ়ীই জীবনদানকারী
৬২. ﺍﻟْﻤُﻤِﻴﺖُ আল-মুমীত ধ্বংসকারী, মৃত্যু আনয়নকারী
৬৩. ﺍﻟْﺤَﻲُّ আল-হ়াইই চিরঞ্জীব, যার কোন শেষ নাই
৬৪. ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡُ আল-ক্বইয়ূম অভিভাবক,জীবিকানির্বাহ প্রদানকারী
৬৫. ﺍﻟْﻮَﺍﺟِﺪُ আল-ওয়াজিদ পর্যবেক্ষক,আবিষ্কর্তা, চিরস্থায়ী
৬৬. ﺍﻟْﻤَﺎﺟِﺪُ আল-মাজিদ সুপ্রসিদ্ধ
৬৭. ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪُ আল-ওয়াহ়িদ এক, অনন্য, অদ্বিতীয়
৬৮. ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ আস-সমাদ চিরন্তন, অবিনশ্বর, নির্বিকল্প, সুনিপুণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ
৬৯. ﺍﻟْﻘَﺎﺩِﺭُ আল-ক্বদির সর্বশক্তিমান
৭০. ﺍﻟْﻤُﻘْﺘَﺪِﺭُ আল-মুক্বতাদির প্রভাবশালী,সিদ্ধান্তগ্রহণকারী
৭১. ﺍﻟْﻤُﻘَﺪِّﻡُ আল-মুক্বদ্দিম অগ্রগতিতে সহায়তা প্রদানকারী
৭২. ﺍﻟْﻤُﺆَﺧِّﺮُ আল-মুআক্ষির বিলম্বকারী
৭৩. ﺍﻟْﺄَﻭَّﻝُ আল-আউয়াল সর্বপ্রথম, যার কোন শুরু নাই
৭৪ ﺍﻟْﺂﺧِﺮُ আল-আখির সর্বশেষ, যার কোন শেষ নাই
৭৫. ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ আজ়-জ়াহির সুস্পষ্ট, সুপ্রতীয়মান,বাহ্য (যা কিছু দেখা যায়)
৭৬. ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ আল-বাত়িন লুক্কায়িত, অস্পষ্ট,অন্তরস্থ (যা কিছু দেখা যায় না)
৭৭. ﺍﻟْﻮَﺍﻟِﻲَ আল-ওয়ালি সুরক্ষাকারী বন্ধু,অনুগ্রহকারী, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভু
৭৮. ﺍﻟْﻤُﺘَﻌَﺎﻟِﻲ আল-মুতা’আলী সর্বোচ্চ মহিমান্বিত, সুউচ্চ
৭৯. ﺍﻟْﺒَﺮُّ আল-বার্র কল্যাণকারী
৮০. ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ আত-তাওয়াব বিনম্র,সর্বদা আবর্তিতমান
৮১. ﺍﻟْﻤُﻨْﺘَﻘِﻢُ আল-মুন্তাক্বিম প্রতিফল প্রদানকারী
৮২. ﺍﻟْﻌَﻔُﻮُّ আল-’আফুউ শাস্তি মউকুফকারী, গুনাহ ক্ষমাকারী
৮৩. ﺍﻟﺮَّﺀُﻭﻑُ আর-র’উফ সদয়,সমবেদনা প্রকাশকারী
৮৪. ﻣَﺎﻟِﻚُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚِ মালিকুল মুলক্ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী
৮৫. ﺫُﻭ ﺍﻟْﺠَﻠَﺎﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ জ়ুল জালালি ওয়াল ইকরাম মরযাদা ও ঔদারযের প্রভু
৮৬. ﺍﻟْﻤُﻘْﺴِﻂُ আল-মুক্বসিত় ন্যায়পরায়ণ,প্রতিদানকারী
৮৭. ﺍﻟْﺠَﺎﻣِﻊُ আল-জামি’ একত্র আনয়নকারী,ঐক্য সাধনকারী
৮৮. ﺍﻟْﻐَﻨِﻲُّ আল-গ’নী ঐশ্বর্যবান, স্বতন্ত্র
৮৯. ﺍﻟْﻤُﻐْﻨِﻲ আল-মুগ’নি সমৃদ্ধকারী, উদ্ধারকারী
৯০. ﺍﻟْﻤَﺎﻧِﻊُ আল-মানি’ প্রতিরোধকারী,রক্ষাকর্তা
৯১ ﺍﻟﻀَّﺎﺭُّ আদ়-দ়়র্র যন্ত্রণাদানকারী ,উৎপীড়নকারী
৯২. ﺍﻟﻨَّﺎﻓِﻊُ আন-নাফি’ অনুগ্রাহক, উপকর্তা, হিতকারী
৯৩. ﺍﻟﻨُّﻮﺭُ আন-নূর আলোক
৯৪. ﺍﻟْﻬَﺎﺩِﻱ আল-হাদী পথপ্রদর্শক
৯৫. ﺍﻟْﺒَﺪِﻳﻊُ আল-বাদী’ অতুলনীয়, অনিধগম্য
৯৬. ﺍﻟْﺒَﺎﻗِﻲ আল-বাকী অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, অসীম, অক্ষয়
৯৭. ﺍﻟْﻮَﺍﺭِﺙُ আল-ওয়ারিস় সবকিছুর উত্তরাধিকারী
৯৮. ﺍﻟﺮَّﺷِﻴﺪُ আর-রশীদ সঠিক পথের নির্দেশক
৯৯. ﺍﻟﺼَّﺒُﻮﺭُ আস-সবূর ধৈর্যশীল। 

(ﺃﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﺴﻨﻰ):আরবি হলো কুরআনে , ও হাদিসে বর্ণিত ইসলাম ধর্মমতে আল্লাহর, গুণবাচক নামের একটি তালিকা বা সংকলন। ইসলাম ধর্মমতে, বুনিয়াদি নাম বা ভিত্তি নাম একটিই, আর তা হলো আল্লাহ, কিন্তু তাঁর গুণবাচক নাম অনেকগুলো।

বিভিন্ন হাদীস অনুসারে, আল্লাহ'র ৯৯টি নামের একটি তালিকা আছে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিক ক্রম নেই। তাই সম্মিলিত মতৈক্যের ভিত্তিতে কোনো সুনির্দিষ্ট তালিকাও নেই। তাছাড়া কূরআন এবং হাদিসের বর্ণনা অনুসারে আল্লাহ'র সর্বমোট নামের সংখ্যা ৯৯-এর অধিক। 

অধিকন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ কর্তৃক বর্ণিত একটা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁর কিছু নাম
মানবজাতির অজ্ঞাত রেখেছেন। উৎস এবং ইতিহাস::

এই নামসমূহের ব্যাপারে ক্বুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ তাআলার উদ্ধৃতি এসেছে “ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। --- সূরা বনী-
ইসরাঈল আয়াত ১১০। ”
অনেকগুলো হাদিস দ্বারাই প্রমাণিত যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহ'র অনেকগুলো নাম-এর উল্লেখ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশুদ্ধ হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) জনাব মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উক্তি বর্ণনা করেন যে,

“ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﻤْﺮٌﻭ ﺍﻟﻨَّﺎﻗِﺪُ، ﻭَﺯُﻫَﻴْﺮُ ﺑْﻦُ
ﺣَﺮْﺏٍ، ﻭَﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻋُﻤَﺮَ، ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﻋَﻦْ
ﺳُﻔْﻴَﺎﻥَ، - ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻟِﻌَﻤْﺮٍﻭ - ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ
ﺳُﻔْﻴَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﻋُﻴَﻴْﻨَﺔَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ
ﺍﻟﺰِّﻧَﺎﺩِ، ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻋْﺮَﺝِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ
ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ " ﻟِﻠَّﻪِ ﺗِﺴْﻌَﺔٌ ﻭَﺗِﺴْﻌُﻮﻥَ
ﺍﺳْﻤًﺎ ﻣَﻦْ ﺣَﻔِﻈَﻬَﺎ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭِﺗْﺮٌ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ " . ﻭَﻓِﻲ
ﺭِﻭَﺍﻳَﺔِ ﺍﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻋُﻤَﺮَ " ﻣَﻦْ
ﺃَﺣْﺼَﺎﻫَﺎ
" ”
অর্থাৎ, “ আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নাম আছে; সেগুলোকে মুখস্থকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিজোড় (অর্থাৎ, তিনি একক, এবং এক একটি বিজোড় সংখ্যা), তিনি বিজোড়
সংখ্যাকে ভালোবাসেন। আর ইবনে উমরের বর্ণনায় এসেছে যে, (শব্দগুলো হলো) "যে ব্যক্তি সেগুলোকে পড়বে"। ” ক্বুরআনের বর্ণনায় আল্লাহ'র গুণবাচক নামসমূহকে "সুন্দরতম নামসমূহ" বলে উল্লেখ করা হয়েছে। (নিম্ন-বর্ণিত দেখুন সূরা আল আরাফ ৭:১৮০ , বনী- ইসরাঈল 17:110 , ত্বোয়া-হা 20:8 , আল হাশ্র 59:24 )।

ইসলামিক পরিভাষায় আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নাম বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি নাম রয়েছে। ইসলামিক পরিভাষায় একে ইসমে আযম (অর্থ: "সর্বশ্রেষ্ঠ নাম")
বলা হয়। এবং কেউ যদি এই নামসমূহের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, সেটা তিনি (আল্লাহ) অবশ্যই কবুল করবেন। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাদীসসমূহ বর্ণিত হয়েছে। যেমন, এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন সালাতে তাশাহহুদে সে এ বলে দুআ করছে :
“ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি -এ কথার উসীলায় যে, সকল প্রশংসা আপনার, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি দানশীল, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, হে মহিমময় ও
মহানুভব! হে চিরঞ্জীব ও সর্ব সত্তার ধারক!- আপনার কাছে জান্নাত চাচ্ছি এবং মুক্তি চাচ্ছি জাহান্নাম
থেকে। ” মুহাম্মাদ (সাঃ) এ প্রার্থনা শুনে তার সাহাবীদের বললেন: “ তোমরা কি জানো, সে কি দিয়ে দুআ করেছে? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেন: সে আল্লাহর মহান নাম দিয়ে দুআ করেছে। যে ব্যক্তি এ নামের মাধ্যমে দুআ করবে তার দুআ তিনি কবুল করবেন। (অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, ইসমে আজম দিয়ে দুআ করেছে) অপর এক হাদিসে তিনি বলেন:

“ ﺩﻋﻮﺓ ﺫﻱ ﺍﻟﻨﻮﻥ ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﺑﻬﺎ ﻭﻫﻮ
ﻓﻲ ﺑﻄﻦ ﺍﻟﺤﻮﺕ، (ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ
ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺇﻧﻲ ﻛﻨﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﺎﻟﻤﻴﻦ )
ﻟﻢ ﻳﺪﻉ ﺑﻬﺎ ﺭﺟﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻓﻲ
ﺷﻲﺀ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﺳﺘﺠﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ . )
ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺻﺤﺤﻪ
ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ) ”
অর্থাৎ, “ ইউনুস (আঃ) এর প্রার্থনা - যখন তিনি মাছের পেটে ছিলেন- তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ
নেই তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী। যে কোনো মুসলিম এ কথা দিয়ে প্রার্থনা করবে
তার প্রার্থনা আল্লাহকবুল করবেন। তবে হাদিসসমূহে সুনির্দিষ্ট করে কোন একটি নামের কথা উল্লেখ করা হয় নি, যার কারনে ঠিক কোন নামটি সেই ইসমে আজম, সেটা নিয়ে ইসলামী ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের ভিতরে ব্যপক মতভেদ আছে। কারো কারো মতে, যেহেতু এই নামটি দুআ' কবুলের ব্যপারে খুবই শক্তিশালী (অর্থাৎ, ব্যক্তিবিশেষ অসৎ উদ্দেশ্যে সেটা ব্যবহার করতে পারে), তাই আল্লাহ তাআলা নিজে (এবং সেইঅনুযায়ী মুহাম্মাদ (সাঃ) ও) এই নামটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি।
[ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]
এই নামগুলো দ্বারা কোনো ব্যক্তির নামকরণ ইসলামিক মতানুসারে, হুবহু এই নামগুলো দ্বারা কোনো ব্যক্তির নামকরণ করার অনুমতি নেই। উদাহরণস্বরূপ, কারো নাম সরাসরি "আল-মালিক" রাখা যাবে
না, বরং "মালিক" রাখা যেতে পারে। এটা এই বিশ্বাসের কারণে যে, কোনো সৃষ্টি, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ'র সমকক্ষ হতে পারে না। তাই নামগুলো ব্যবহার করা যাবে; কিন্তু "আল-" শব্দাংশ-সহ ব্যবহার করা যাবে না। 

অধিকন্তু, কিছু নাম ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ; কারণ সেই গুণাবলীগুলো মানুষের সম্পূর্ণ আয়ত্বের বাইরে। যেমন: "আল্লাহ", "খালিক্ব" ইত্যাদি। তবে, যেকোনো নামের প্রথমে (ক্ষেত্রভেদে) "আব্দ"/"আব্দুল"/"আব্দুর"/"আব্দুস" শব্দাংশ (বাংলায় যার অর্থ "দাস" বা "গোলাম") যোগ করে সেটাকে কোনো ব্যক্তির নাম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যেমন: "খালিক্ব" (অর্থাৎ "সৃষ্টিকর্তা")
ব্যক্তির নাম হিসেবে নিষিদ্ধ হলেও "আব্দুল খালিক্ব" (অর্থাৎ "সৃষ্টিকর্তার গোলাম") নামটি খুবই গ্রহণযোগ্য এবং মুসলমান সমাজে প্রচলিত।

Thursday, November 7, 2019

পুরো কুরআন হাতে লিখলেন বরিশালের হুমায়ুন


এবার বাংলাদেশের এক প্রতিভাবান তরুণ হুমায়ুন কবির সুমন হাতে লিখেছেন পুরো পবিত্র কুরআন।

মাদ্রাসায় না পড়েও প্রবল ইচ্ছা শক্তির জোরেই বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারড়িয়া গ্রামের হুমায়ুন কবির সুমন আরবি শিখে ৩ বছরে পুরো কুরআন হাতে লিখেছেন।


১৯৯৯ সালে এসএসসি পাস করার পর হুমায়ুন কুরআনুল কারিম লেখার উদ্দেশ্যে আরবি লেখা শেখেন। অতঃপর ২০০৭ সালে পবিত্র কুরআন হাতে লেখা শুরু করেন। ৩ বছরের ব্যবধানে ২০১০ সালে পুরো কুরআন লেখা সম্পন্ন করেন হুমায়ুন।

সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় আরবি লেখা শিখে কুরআন লেখা এবং পৃষ্ঠা বিন্যাস ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ক্যালিওগ্রাফিও ব্যবহার করেছেন তিনি। বরিশালের তরুণ প্রতিভা হুমায়ুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কুরআনে পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে চান তিনি।

হুমায়ুন কবির সুমন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বারড়িয়া গ্রামের মো. রজব আলী শিকদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটের একটি শোরুমের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।